গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: ভাঙা ঘরের দুয়ারে এসেছে সরকার। তাই পাকা ছাদের জন্য বিধায়কেরই (MLA) পায়ে পড়লেন এক গৃহস্থ। দুঃস্থ গৃহস্থের দিকে আশ্বাসের হাত বাড়াতে দেখা গেল বিধায়ককে। এই ছবি দেখতে পাওয়া গেল বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। মঙ্গলবার এখানেই 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। সেই সময় নুরাই পাড়ার বাসিন্দা হরি মণ্ডল আচমকাই বিধায়কের পায়ে পড়ে যান। বিধায়কের কাছে আবাস যোজনায় বাড়ির বন্দোবস্ত করার কাতর আর্জি জানান।


নুরাই পাড়ার বাসিন্দা হরি মণ্ডল পেশায় রাঁধুনি। করোনা আবহে তেমন কাজকর্ম নেই। স্বাভাবিকভাবেই আয়ও একেবারেই সামান্য। ত্রিপল দিয়ে ঢাকা একচিলতে বাড়িটাও একেবারে ঝুরঝুরে হয়ে গেছে। 


আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর হাতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম জমা, অভিনব উদ্যোগ বিধাননগরে


হরি মণ্ডলের অভিযোগ, বাংলা আবাস যোজনায় এমন অনেকেই বাড়ি পেয়েছেন, যাঁদের যথেষ্ট অর্থ রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত যাঁরা দুঃস্থ, তাঁদের অনেকেই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তিনি জানান, 'বিধায়কের পায়ে ধরে বললাম যাঁদের তিনতলা চারতলা বাড়ি আছে তাঁদের বাড়ি হচ্ছে। আমাদের বাড়ি কেন হবে না। আমরা ঝুপড়িতে থাকি। ত্রিপল টাঙিয়ে থাকি।' বিধায়কের পায়ে পড়তেই অনেকেই সরিয়ে দেয় তাঁকে, জানাচ্ছেন হরি মণ্ডল। 


সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ক্যামেরার সামনে অবশ্য এই বিষয়ে কিছুই বলেননি। তবে যাওয়ার আগে আশ্বাস দিয়ে যান হরি মণ্ডলকে। ঘর নিয়ে কোনও অসুবিধা হলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার আশ্বাস দিতে শোনা যায় বিধায়ককে।


ঘটনার কথা জানতে পেরে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।


এদিকে, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ফর্ম পেতে ভুয়ো নথি সরবরাহ করার অভিযোগ উঠল। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) হাড়োয়া থেকে গ্রেফতার বিজেপি (BJP) নেতার আত্মীয়। যদিও বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, ধৃতের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। আর এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।