গোপাল চট্টোপাধ্যায়, তারাপীঠ: ৬ দিন পর আজ থেকে ফের খুলল তারাপীঠ (Tarapith)। সকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের ভিড়। করোনা (Corona) আবহে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারাপীঠে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এর মধ্যে ৬ সেপ্টেম্বর ছিল কৌশিকী অমাবস্যা। আজ থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেল তারাপীঠ মন্দিরের দরজা। মন্দির খোলায় খুশি পুণ্যার্থীরা।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে একলাফে ১৪ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহে কৌশিকী অমাবস্যা ভক্তশূন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ কঙ্কালী তলাতেও বিশেষ হোম-যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: দুর্গাপুজোর বিবর্তনের একের পর এক মাইল ফলক ছবি, কেমন হতো ১০০ বছর আগের শারদ-উদযাপন?
প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্ত সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দির। বিশেষ দিনটিতে তারা মায়ের পুজো দিতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় করেন অগণিত ভক্ত।মহাশ্মশানে সামিল হনসাধু-সন্ত, তন্ত্রসাধকরা। কিন্তু, গতবারের মতো, এই বছরও উৎসবে করোনা-কাঁটা। কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ। মন্দিরে ঢোকার মুখে রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। তবে, ভক্তশূন্য মন্দিরেই প্রথা মেনে হয় মায়ের পুজো। জায়ান্ট স্ক্রিনে তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে দিনের শুরু। এরপর দিনভর বিশেষ পুজোপাঠ। মায়ের শিলামূর্তিকে স্নান করানোর পর, পরানো হয় রাজবেশ। ফুলের সাজে সাজানো হয় মা-তারাকে। আচার মেনে, দুপুরে তারা মাকে দেওয়া হয় মধ্যাহ্ন ভোগ। শোল মাছ পোড়া, সাত রকমের ভাজা, মাছ, ভাত, পোলাও। সন্ধেয় বিশেষ আরতি। মঙ্গল আরতির পর ফল, মিষ্টি, ক্ষীর দিয়ে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়। শুধুমাত্র মন্দিরের সেবায়েতরা এই মহাযজ্ঞে অংশ নেন।