প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: শিবঠাকুর মণ্ডলের (shiv Thakur mondal) বিস্ফোরক অভিযোগের মামলায় জামিন (bail) পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)! কিন্তু আদতে কি স্বস্তি পেলেন বীরভূমের (birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।


কী হতে চলেছে?
এদিন রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন কেষ্ট। তাঁকে আরও ৭ দিন হেফাজতে রাখার পুলিশের আবেদন খারিজ করে দুবরাজপুর আদালত। ১ জানুয়ারি ফের দুবরাজপুর আদালতে পেশ করতে হবে তাঁকে। তত দিন পর্যন্ত আসানসোল জেলেই রাখা হতে পারে অনুব্রতকে। আজ দুবরাজপুর কোর্টে আজ এই মামলার কেস ডায়েরি পেশ করে পুলিশ।  


কী ঘটেছিল?
হালে জেলায় দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন শিবঠাকুর। অভিযোগকারী তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দাবি করেছিলেন একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, 'বললাম, দাদা দল আমি করব না। আমি প্রয়োজন হলে বসে যাচ্ছি। তখন উনি রেগে গিয়ে আমার গলা চেপে ধরেন এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। অনুব্রত মণ্ডল একা এবং তাঁর সঙ্গে এক জন সিকিউরিটি ছিল।' কিন্তু সেই ঘটনার এত দিন পর কেন তিনি মামলা করলেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শিবঠাকুর জানান এই মুহূর্তে জেলার দাপুটে নেতা জেলবন্দি। তাই সাহস সঞ্চয় করে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার পরই মামলা ওঠে দুবরাজপুর কোর্টে। কিন্তু এদিনের জামিনের পর আদৌ কতটা সুবিধা হল অনুব্রতর? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এর মধ্যেই। প্রসঙ্গত, আগেই তাঁকে সাসপন্ড করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। 


আরও যা...
এদিকে তাঁকে পুলিশের গ্রেফতারি সংক্রান্ত সব নথিই পেয়েছে ইডি। দুরবাজপুর আদালতের নির্দেশে ইডির হাতে সব নথির কপি তুলে দেওয়া হয়। দেওয়া হয়েছে এফআইআরের কপি ও আদালতের নির্দেশনামার কপিও। পুলিশ এই মামলায় আদালতে যতগুলি আবেদন করেছে, তার কপিও দেওয়া হয়েছে। গত কাল ১ ঘণ্টার শুনানির পর কপি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু যেখানে শিবঠাকুর মণ্ডলকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে এখনও যায়নি পুলিশ। এমনকি দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিসেও দেখা নেই পুলিশের। তদন্তের জন্যও একবারও ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশ, দাবি কার্যালয়ের কেয়ারটেকারের। 


আরও পড়ুন:বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে, নেজাল ভ্যাকসিনের দাম বেঁধে দিল কেন্দ্র