গোপাল চট্টোপাধ্যায়, কঙ্কালীতলা: বীরভূমের বিখ্যাত সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় ত্রয়োদশীর পুজো আয়োজন করা হল। দেবীরূপে পুজো করা হল ৫১ জন কুমারীকে। করোনা আবহে মন্দিরে ছিল স্বাস্থ্যবিধিতে কড়াকড়ি।
প্রথা মেনে দেবীপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ৫১ কুমারীকে দেবীরূপে পুজো করা হল সতীপীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলায়। কুমারী পুজো ঘিরে কঙ্কালীতলায় সোমবার ছিল ভক্তদের ঢল। এদিন কঙ্কালীতলায় প্রাচীন বটগাছের নীচে ৪ থেকে ৮ বছরের বয়সের কুমারীদের লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দেবী রূপে পুজো করা হয়।
এই পুজো শুরু হয়েছিল ৪৭ বছরের বেশি আগে। বোলপুর কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাপাসটিকুড়ি গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় কঙ্কালীমায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে ত্রয়োদশীর দিন এই কুমারী পুজোর সূচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বক্রেশ্বরের সতীপীঠে দুর্গারূপে পূজিত মনপাত দেবীর অষ্টধাতুর মূর্তি
সেই থেকেই দুর্গাপুজোর পরের ত্রয়োদশীর দিনে এই পুজো হয়ে আসছে। সতীর দেহের ৫১টি খণ্ডকে মন্ত্রের দ্বারা একত্রিত করে সঙ্কল্পের মাধ্যমে ঘটে স্থাপন করা হয়। তারপরে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে কুমারীদের পুজো করা হয় হোমযজ্ঞের মধ্য দিয়ে।
পাশাপাশি এই কুমারী পুজোকে ঘিরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল এই কঙ্কালীতলা মন্দিরে। প্রচুর পুণ্যার্থী এসে কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে মায়ের কাছে মনস্কামনা করেন।
পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকেও কঙ্কালীতলা মন্দিরের বাইরে বিশেষ নজরদারি চালানো হয়। কুমারী পূজার পুরোহিত জানান, রীতি মেনেই প্রতিবছর কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। এবছরও একই ভাবে ৫১ কুমারীকে দেবি রূপে পূজা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন, তারাপীঠ বা কঙ্কালীতলায় যেতে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা
পূজিত এক কুমারীর মা বলেন, ছোট থেকেই আছি অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল মেয়েকে কুমারী পূজার জন্য তৈরি করব। তাই সুযোগ পেয়ে এসেছি কুমারী পূজার জন্য খুশি খুব আমরা।
অন্যদিকে, ৫১ পীঠের আরেক পীঠ, বীরভূমের লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরেও ত্রয়োদশী তিথিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়।