আবির ইসলাম ও এরশাদ আলম, সাঁইথিয়া (বীরভূম) : বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতাতেই সাঁইথিয়া পুরসভা (Sainthia Municipality) দখল করেছে তৃণমূল। ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। আর যার পরই বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) স্বকীয় মেজাজে বক্তব্য, 'বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারলে আমি কী করব!' বেশ কিছু জায়গায় ভয়ে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে কি পারেনি ? প্রশ্ন শুনেই অনুব্রত মণ্ডলের সংযোজন, 'একটা ছবি দেখান তো যেখানে সন্ত্রাস হয়েছে। কারোর পা ভেঙেছে, হাত ভেঙেছে। ঠিক কাকে সন্ত্রাস বলছে বুঝছি না। রাস্তা ঘুরে বেড়ালে সেটা সন্ত্রাস? নাকি কারোর সঙ্গে কথা বললে সেটা সন্ত্রাস?'
বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার ভোটযুদ্ধে তাঁর 'খেলা হবে' শব্দবন্ধ আলোড়ন তুলেছিল। এবারে পুরভোটের প্রাক্কালে তিনি জানিয়েছিলেন 'হকি, ক্রিকেট খেলা হবে।' আজ যে প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, 'বলেছিলাম হকি খেলা হবে। এটা আবার জাতীয় খেলা। গোটা দেশে কদর। যেখানে পাকিস্তানকে হারালে নরেন্দ্র মোদি হ্যান্ডসেক করেন।' পাশাপাশি তাঁর চেনা মেজাজে বক্তব্য 'সব জায়গায় সিস্টেম একই। যেখানে বিরোধীরা দাঁড়িয়েছে, সেখানে খেলা হবে।' প্রসঙ্গত, সাঁইথিয়া পুরসভায় ৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল শুধু বামেরা।
বুধবারই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। যেদিন সাঁইথিয়ায় হকি খেলতে খেলতে মনোনয়ন জমা দিতে যান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তাদের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের কথা মতো ছিল ক্রিকেট ব্যাটও। এদিকে সাঁইথিয়াতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূল জয়লাভ করার পরই শুরু হয় তাঁদের কর্মী সমর্থকদের জয়োল্লাস। এই ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, 'এই ফলের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমি দেব আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলকে। কারণ ওঁদের হাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই অন্যান্য দলের লোক ভেবেইছিল ছিল যে এদের উন্নয়নের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া অন্যায়। তাই তারা প্রার্থীও দেয়নি। আমাদের ১৬টা ওয়ার্ডের ৩টেয় সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। সেগুলি ১, ৪, ১২। বাকি আর কোথাও কেউ প্রার্থী দেয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আমরা জয়লাভ করলাম।'