গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার এম এড(M.ED)-এর প্রবেশিকা পরীক্ষার মেধাতালিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ। উঠেছে নম্বর বিভ্রাটের অভিযোগ। তবে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষা ১০০-তে। আর তাতেই কেউ পেয়েছেন ২০০। কেউ আবার ১০০-তে পেয়েছেন ১৯৮। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত হয়েছে এম এড-এর প্রবেশিকার মেধাতালিকা। আর তাতেই ধরা পড়েছে এই চূড়ান্ত নম্বর বিভ্রাট।
ভুলে ভরা মেধাতালিকা কীভাবে প্রকাশ হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। করোনা আবহে এখন পঠনপাঠন হচ্ছে মূলত অনলাইনে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এম এড-এ ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা হয়েছিল। সোমবার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই পরীক্ষার মেধাতালিকাতেই নম্বরে এই গড়মিল ধরা পড়েছে।
এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাসপেন্ডেড অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে। পাগলদের কার্যকলাপ, প্রশাসন বলে কিছু নেই।
যদিও, নম্বর বিভ্রান্তি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রতিক্রয়ার জন্য রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো ও মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে ফোন করা হলেও, তাঁরা ফোন ধরেননি।
পড়ুয়া বহিষ্কার থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ-- এসব ঘিরে সাম্প্রতিককালে বারবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
গত সপ্তাহেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ করে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথমঞ্চ। যৌথমঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, উপাচার্যের পদ থেকে বিদ্যুর চক্রবর্তীর পদত্যাগ চেয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন তাঁরা।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে গড়ে ওঠে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। পড়ুয়া, অধ্যাপক, আশ্রমিক, আলাপনী মহিলা সমিতি, হস্তশিল্প সামগ্রী ব্যবসায়ীদের একাংশকে নিয়ে গড়ে ওঠে ওই মঞ্চ।
এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল, নম্বর বিভ্রাট।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর সাসপেন্ড হওয়া এক অধ্যাপককে ফের শোকজ