পরিতোষ দাস, বীরভূম: হাতি-গন্ডার নয়, গরু কিংবা ছাগলও নয়। বীরভূমের (Birbhum) কীর্নাহারের বাসিন্দারা নাজেহাল হয়ে রয়েছেন ঘোড়া (Horse) নিয়ে। বেশ কয়েকমাস ধরেই এমন ছবি ওই এলাকায়।
কোথায় সমস্যা:
বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় চারটি ঘোড়া ঘুরে বেরাচ্ছে বলে অভিযোগ। যাদের মালিকের খোঁজ মিলছে না। ফলে ঘোড়াগুলিকে কারও কাছে পাঠানোও যাচ্ছে না। একা একা থাকার কারণে খিদের চোটে এলাকার কৃষিজমিতে চরে বেড়াচ্ছে ঘোড়াগুলি। সেই কারণে এলাকার কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ধানের বীজতলাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়া লাগামহীন ভাবে ছুটে বেড়ানোয় বাড়ছে দুর্ঘটনায় আশঙ্কাও। আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে থাকছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কয়েকজন জখমও হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হয়েছে একটি ঘোড়ারও।
কোথা থেকে এল ঘোড়া:
দীর্ঘদিন ধরেই কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না এই ঘোড়াগুলির মালিকের। কে বা কারা এই ঘোড়াগুলোকে এলাকায় রেখে গেলো তা কেউ বুঝ উঠতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের ধারনা খাবারের যোগান দিতে না পেরে, যাযাবর ধরনের কিছু মানুষজন এই ঘোড়াগুলিকে এলাকায় রেখে দিয়ে চলে গিয়েছে।
এলাকার কৃষকদের (Farmers) দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ঘোড়াগুলিকে কোথাও একটা নিয়ে যাওয়া হোক। তা না হলে এলাকায় যেমন ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি এলাকায় বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। উদ্বেগ রয়েছে আরও এক জায়গায়। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, চাষের মাঠে কীটনাশক দেওয়া ফসল খেয়ে ঘোড়াগুলো মারাও যেতে পারে। তাই অবিলম্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোড়াগুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হোক।
নানুরের বিডিও (BDO) সৌভিক ঘোষাল জানান, ইতিমধ্যেই তিনি খবরটি জানতে পেরেছেন, ঘোড়া ঘুরে বেড়ানোর জন্য এলাকায় কৃষি জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে, ফলে এলাকায় একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যেও একটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে, বনদফতরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। কিন্তু যেহেতু ঘোড়াগুলি গৃহপালিত তাই বন দফতরই বা কীভাবে উদ্ধার করবে তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। তবুও দ্রুত ঘোড়াগুলিকে উদ্ধার করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।