গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: করোনা অতিমারির সময়কালে স্কুলের দরজা বন্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। ২০২০ থেকেই বন্ধ হয়েছে বিদ্যালয় চত্বর। পড়ুয়াদের আনাগোনা নেই। ক্রমশই ফিকে হয়ে পড়ছিল বিদ্যালয় ভবনটি। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত স্কুলে ক্রমশ ক্ষয় দেখা দিচ্ছিল। ধীরে ধীরে শ্যাওলা থেকে ঘাস, লতানে গাছ-গাছালিতে জঙ্গলে পরিণত হচ্ছিল স্কুল চত্বর।


এমনকী, স্কুলের দেয়াল জুড়ে বর্ষার জলের সবুজ শ্যাওলার আস্তরণ জমে উঠেছে। নিজেদের প্রিয় স্কুলকে এমনভাবে দেখতে সায় দিচ্ছিল না কারোর। ঠিক সেই সময় ভিন্ন ভাবনায় বন্ধ স্কুল রঙিন তুলির টানে সাজিয়ে তুলেছে বাজিতপুর হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা।ময়ুরেশ্বর -১ এর বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত দশ দিন ধরে বিদ্যালয় চত্বরের বিভিন্ন দেওয়ালে শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা রংতুলিতে নিজেদের মনে ভাব ফুটিয়ে তুলেছেন। 


প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার দাস জানান যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে যখন বিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের স্বাভাবিক হবে তখন ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিদ্যালয়কে আরও নতুন রূপে পায় তার জন্য এই প্রচেষ্টা। এখানে রং তুলিতে পরিবেশ সচেতনতার উপর বিভিন্ন ছবিকে  যেমন গুরুত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তোলা  হয়েছে, তেমনি সৌন্দর্যায়নের জন্য যামিনী রায়ের বিভিন্ন চিত্রকলা ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।


আরও পড়ুন, অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকায় ব্যাঘাত অনলাইন পড়াশোনায়, স্কুলের উদ্যোগে পড়ুয়াদের দুয়ারে শিক্ষকরা


অন্যদিকে, বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার এম এড(M.ED)-এর প্রবেশিকা পরীক্ষার মেধাতালিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ। উঠেছে নম্বর বিভ্রাটের অভিযোগ। তবে এ নিয়ে  মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।


পরীক্ষা ১০০-তে। আর তাতেই কেউ পেয়েছেন ২০০। কেউ আবার ১০০-তে পেয়েছেন ১৯৮। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত হয়েছে এম এড-এর প্রবেশিকার মেধাতালিকা। আর তাতেই ধরা পড়েছে এই চূড়ান্ত নম্বর বিভ্রাট।ভুলে ভরা মেধাতালিকা কীভাবে প্রকাশ হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। করোনা আবহে এখন পঠনপাঠন হচ্ছে মূলত অনলাইনে।


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এম এড-এ ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা হয়েছিল। সোমবার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই পরীক্ষার মেধাতালিকাতেই নম্বরে এই গড়মিল ধরা পড়েছে।এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাসপেন্ডেড অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য।  তিনি বলেন, সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে। পাগলদের কার্যকলাপ, প্রশাসন বলে কিছু নেই। যদিও, নম্বর বিভ্রান্তি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রতিক্রয়ার জন্য রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো ও মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে ফোন করা হলেও, তাঁরা ফোন ধরেননি।