ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: 'বিডিও নিজের ইচ্ছায় বাড়ির লিস্ট করেন', বিধায়ককে প্রকাশ্যে অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের। বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের পঞ্চায়েত প্রধান। তাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে  বিডিও সাহেব নিজে চেয়ারে বসে লিষ্ট বানাচ্ছে। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে লিষ্ট বানাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি ২ ব্লকে ভদ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতে।


এদিন নলহাটি ২ ব্লকে দিদির দূত কর্মসূচি হয় সেখানে যান বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়। তখন ভদ্রপুর ১  পঞ্চায়েত প্রধান মহাদেব লেট বিধায়ক বলেন, 'এখানে বিডিও চেয়ারে বসে নিজের ইচ্ছায় বাড়ির লিষ্ট বানায়।এরফলে অনেকে বাড়ি পাচ্ছে না।' প্রসঙ্গত, বাইশ সালের শেষ থেকে এখনও অবধি একের পর এক আবাস দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে জেরবার শাসকদল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে রোজই কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল।


এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে আবাস-ক্ষোভ আছড়ে পড়ে এক আইসিডিএস (ICDS) কর্মীর ওপর। ক্যানিংয়ের দিঘিরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামে এমন ঘটনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁদের নামই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এই কাজ করেছেন আইসিডিএস কর্মী এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাঞ্জিলা তরফদার। এই অভিযোগে, প্রথমে স্কুল থেকে টেনে হিঁচড়ে আইসিডিএস কর্মী অপর্ণা মণ্ডল সাঁপুইকে বের করা হয় বলে অভিযোগ। বাইরে থেকে স্কুলে লাগিয়ে দেওয়া হয় তালা। তারপরে শুরু হয় বিক্ষোভ-অবস্থান।


আরও পড়ুন, বিল বাড়াতে আইসিসিইউ-তে ডেডবডি ! কাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার ?


এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রেবা বিশ্বাস রায়ের রহস্যমৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মৃতের পরিবার অভিযোগ তোলে, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও, সুবিধাপ্রাপকদের তালিকা থেকে নাম যাতে বাদ না যায়, তার জন্য় ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল রেবাকে। সেই মানসিক চাপ নিতে না পেরেই আত্মঘাতী হন তিনি। মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলায় আবার যোগ্যদের নাম বাদ যাওয়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন ICDS কর্মীরা। একই ঘটনা ঘটল এবার ক্যানিংয়ে। পরে এদিন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।