বোলপুর: বোলপুরে (Bolpur) নির্যাতিতা নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় রেফার করা হল এসএসকেএমে (SSKM)। বোলপুরে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা, পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) সদস্য-সহ গ্রেফতার ৪। নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের ১০দিনের পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফের গণধর্ষণের অভিযোগ রাজ্যে: নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের (Kakdwip) পর, এবার বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর (Bolpur) ফের উঠল গণধর্ষণের অভিযোগ। বোলপুরে নাবালিকাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য। আর চাঞ্চল্যকর ঘটনা হল, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধেও। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষকে।
গ্রেফতার তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য: নির্যাতিতার মাসতুতো দিদি জানান, বহুদিন আগে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নেন নাবালিকার বাবা। কিন্তু, সেই টাকা শোধ করতে না পারেননি। অভিযোগ, টাকা শোধ করতে না পেরে ৩১ মার্চ শাসক নেতার কাছে মেয়েকে দিয়ে আসে বাবা। গণধর্ষণের শিকার হয় নাবালিকা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও গ্রামের দুই বাসিন্দা ও মেয়েটির বাবার নামও এই ঘটনায় জড়ায়। মঙ্গলবার বোলপুর থানায় নির্যাতিতার মাসতুতো দিদি অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করে।
একাধিক ধারায় মামলা রুজু: ধৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষের অবশ্য আগেই দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, আমি নির্দোষ। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ৩৭৬ D ধারায় গণধর্ষণ, ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার (Police Super, Birbhum) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “তদন্ত শুরু করেছি, একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে, মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি আছে।’’
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: “এফআইআর দায়ের করতে দেরি কেন?'' হাঁসখালিকাণ্ডে প্রশ্ন মামলাকারীদের