বীরভূম: বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) প্রচারে হুঁশিয়ারি মহিলা প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রীর। বিধানসভা কেন্দ্রে পুলিশকে নিশানা সুব্রতা দত্তর। ‘পুলিশকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাবেন। দরকার পড়লে বোমা মারতে হবে। পুলিশকে গুলি করে শরীর ঝাঁঝরা করে দিতে হবে’, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গুলি-মন্তব্যের উল্লেখ করে সাফাই কংগ্রেস নেত্রীর। 'পুলিশকে বলব ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ হাকিমের। দল এ ধরনের মন্তব্য অনুমোদন করে না, প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতির। 


প্রসঙ্গত, চলতি বছরে নবান্ন অভিযান ঘিরে বিজেপি-র দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিয়ে চলে জোর চর্চা। তার মধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, তাঁর সামনে হামলার ঘটনা ঘটলে, সরাসরি মাথায় গুলি করতেন তিনি। কিন্তু অভিষেকের এই মন্তব্য ঘিরে চলে জোর বিতর্ক। শাসকদলের নেতা তথা অলিখিত ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরাধিকার হিসেবে যাঁর নাম একপ্রকার প্রতিষ্ঠিত বাংলার রাজনীতিতে, প্রকাশ্যে তিনি এমন মন্তব্য করতে পারেন কি না, প্রশ্ন তোলেন সেসময় বিরোধীরা। সেসময় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) পৌঁছন অভিষেক। সেখান থেকে বেরিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি-কে। অভিষেক বলেন, "আমি দেবজিৎবাবুকে বললাম, আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালানো হতো, এরকম হামলা হতো, তাহলে আমি (কপালে আঙুল ঠেকিয়ে) এখানে শ্যুট করতাম, মাথার উপরে।"


আরও পড়ুন, মিঠুনের কনভয়ে দুর্ঘটনা, আচমকা ব্রেক কষায় পরপর ৩টি গাড়ির ধাক্কা


অভিষেকের এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বাংলার তথাকথিত যুবরাজ, তিনি আগামী দিনে যেটা তৈরি করবেন, সেই তৃণমূলের পুলিশ মানুষের মাথা লক্ষ্য করে, কপাল লক্ষ্য করে গুলি করবে। আজ তিনি তার আভাস দিয়েছেন। ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ এটাকে ইংরেজিতে বলা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনে ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ বাংলাকে উপহার দেবেন।' গুলি চললে তাঁরাও ছেড়ে কথা বলতেন না বলেও মন্তব্য করেন সুকান্ত। পাশাপাশি একই সঙ্গে বামেদের একাংশই এই মুহূর্তে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'কই একটি বিবৃতিও দেয়নি সিপিএম! একবারও বলল না তো যে আমরা এই ধরনের আন্দোলন সমর্থন করি না! কারণ এদের গুন্ডারা, হার্মাদরাই এখন বিজেপি-তে ঢুকে পড়েছে। আগে যে কায়দায় বাংলায় অশান্তি করত, এখনও তা-ই করছে। শুধু জার্সি পাল্টে ফেলেছে। আগে ছিল লাল, এখন পরনে গেরুয়া জার্সি। লাল ঝান্ডা ফেলে গেরুয়া পতাকা তুলে নিয়েছে হাতে। ইনকিলাম জিন্দাবাদের পরিবর্তে এখন মুখে জয় শ্রী রাম।'