এরশাদ আলম, বীরভূম: নকল সোনার কয়েনকে (Fake Gold Coin) আসল বলে চলছিল বিক্রি। প্রতারণা চক্রের এক দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ায়। ইতিমধ্যেই ধৃতের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল সোনার কয়েন ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।


নকল সোনার কয়েন বিক্রির প্রতারণে চক্রের এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার-


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ আশরাফুল। দক্ষিণেশ্বরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার কল্যাণপুরের সোনার কয়েন বিক্রেতার কথা হয় সোনার কয়েন বিক্রি প্রসঙ্গে। শেখ আশরাফুল নামে ওই প্রতারকের কথা মতো দক্ষিণেশ্বরের ব্যবসায়ী ১ লক্ষ ১৫ টাকার টানা নিয়ে সাঁইথিয়া থানা এলাকার ডেকড্ডার গ্রামে যান। সোনার কয়েন বিক্রির অবৈধ লেনদেনের খবর গোপন সূত্রে আগেই ছিল পুলিশের কাছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশও। ব্যবসায়ীর সঙ্গে লেনদেন করতে এসে পুলিশ দেখেই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে আশরাফুল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে ধরে পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আশরাফুলের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি কার্তুজ, প্রায় ৩০০টি নকল সোনার কয়েন এবং ওই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে নেওয়া ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকাও পুলিশ উদ্ধার করেছে। আজ ধৃতকে সিউড়ি আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতী নকল সোনার কয়েনের ব্যবসা করত। এর আগে বহু লোককে সে প্রতারণা করেছে। গোটা বিষয়টা তদন্ত চলছে।


আরও পড়ুন - Birbhum News: ফেসবুকে পোস্ট করে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি নেতা


অন্যদিকে, SSC থেকে প্রাথমিক টেট (TET), নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যখন তোলপাড় রাজ্য, তখনই এই দৃশ্য শোরগোল ফেলে দিল বীরভূমের ইলামবাজারে। প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। কিন্তু চাকরি না মেলায় টাকা ফেরত পেতে, রাস্তাতেই তৃণমূল কর্মীর পা ধরলেন এক যুবক। একবার নয়, দু’দুবার! ইলামবাজারের বাসিন্দা আশিস সিংয়ের দাবি, ২০১২ সালে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য, তৃণমূল কর্মী রতন মণ্ডলকে ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি মেলেনি। এরপর ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন তৃণমূল কর্মী। ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার রাস্তায় তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন চাকরিপ্রার্থী। টাকা ফেরত পেতে, তাঁর পা-ও ধরেন যুবক। প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থী আশিস সিং বলেন, "প্রাইমারি স্কুলের চাকরি দেওয়ার নাম করে রতন মন্ডল কে আমি ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম । কিন্তু চাকরি হয়নি , আমাকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে বাকি টাকা দিচ্ছেনা । বাবা অসুস্থ টাকার খুব প্রয়োজন।"