ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, নানুর: লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি (Fire Cracker) উদ্ধার বীরভূমের (Birbhum) নানুরে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার এবং সোমবার বীরভূমের নানুর থানার পুলিশ খুঁজুটিপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকার বাজি উদ্ধার হয়। ধৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণকান্ত মণ্ডল।
লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরই আলোর উৎসব। আর কালীপুজো মানেই বাজি, আলোর রোশনাই। আর এই আবহে নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে সতর্কতা রাজ্যজুড়েই। দুদিন ধরে অভিযান চালিয়েছে নানুর থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে লক্ষাধিক টাকার বাজি। সম্প্রতি কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোয় লাগাম টানার করা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দীপাবলি উৎসবের আগে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কালী পুজো থেকে ছট পুজো, সমস্ত পুজোই সকলের। দুর্গাপুজোর মতো কালী পুজোটাও ভালো করে করতে হবে। বাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে’ তিনি আরও বলেন, ' আমার একটা আচরণ আর একজনকে যেন দুঃখের মধ্যে না পড়তে হয়। সেটা দেখতে হবে।'
দিনকয়েক আগে বিপুল পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কলকাতা থেকে মেদিনীপুরে নিষিদ্ধ আতসবাজি পাচারের চেষ্টা আটকায় পুলিশ। অভিযোগ পেয়ে বড়বাজারের কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিট থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে প্রায় ৮৪০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার মালিককে গ্রেফতার করে পোস্তা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর মেলে, গাড়ি করে বড়বাজার থেকে নিষিদ্ধ আতসবাজি পাচারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার গভীর রাতে সেখানে হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ২৮ বাক্স নিষিদ্ধ আতসবাজি। ওই বাজি মেদিনীপুরের সোনাকনিয়ায় পাচারের চেষ্টা চলছিল বলে পুলিশের দাবি। ধৃতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে পোস্তা থানার পুলিশ।
এছাড়াও কালী পুজোর আগে প্রচুর বাজি উদ্ধার করে নিউটাউন থানার পুলিশ (Newtown Police)। বাজি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দুই। নিউটাউন থানা এলাকার জ্যোতিনগর থেকে এই বিপুল বাজি উদ্ধার হয়। প্রায় ২০০কেজি বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে নিউটাউন থানা এলাকায় একটি বাড়িতে কালী পুজো উপলক্ষে বিক্রি করার জন্য প্রচুর বাজি মজুত করেছে। সেই মতো হানা দিয়ে প্রায় দুশো কেজি বাজি উদ্ধার করা হয়। এই বাজি মজুত করার অপরাধে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাঁদের বারাসাত কোর্টে তোলা হয়। এর পাশাপাশি ১২ তারিখ রাতে যাত্রাগাছি এলাকা থেকে সঞ্জয় মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকেও ৫০ কেজি বাজি উদ্ধার হয়।