আবির ইসলাম, বোলপুর: স্বল্প খরচে মুক্ত চাষ। রোজগারের নতুন দিশা বীরভূমে (Birbhum)। বীরভূমের বোলপুর সিয়ান গ্রামে স্বল্প খরচে মুক্ত চাষ (Pearl Farming) করছেন মীর মতিউর রহমান। প্রশাসনের তরফ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
খুব অল্প খরচের মধ্যে মুক্ত চাষ করে মোটা টাকা রোজগারের দিশা খুঁজে পেয়েছেন বীরভূমের বোলপুরের সিয়ানের বাসিন্দা মীর মতিউর রহমান। তিনি জানতে পারেন হায়দরাবাদ , কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এমন মুক্ত চাষ করে মোটা টাকা রোজগার করে থাকেন অনেকে। এরপরই মুক্ত চাষের প্রয়াস শুরু হয়। মতিউরের দাবি, অন্যান্য জায়গায় মুক্ত চাষ করা হয়ে থাকলেও বীরভূমে প্রথম এই মুক্ত চাষ। অথচ লক্ষ্য করা যায় এই মুক্ত চাষ করে অনেক বেশি লাভের মুখ দেখা যেতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মুক্ত চাষ শুরু করেছেন।
মুক্ত চাষ করা শুরু করার গ্রামের বিভিন্ন জেলে এবং ছেলেদের থেকে প্রথমে ঝিনুক সংগ্রহ করেন। তারপর সেই ঝিনুকে মুক্ত তৈরির ছাঁচ প্রবেশ করান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজ করতে হয় যাতে ঝিনুকগুলি মারা না যায়। এরপর সেগুলিকে জলে ছেড়ে দিতে হয়। বিভিন্ন ধরনের মুক্তর মধ্যে আপাতত ডিজাইন মুক্ত তৈরি করার পথ বেছে নিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ডিজাইন মুক্ত তৈরি হওয়ার জন্য ছয় থেকে আট মাস সময় লাগে। অন্যদিকে গোল মুক্ত তৈরি হতে সময় লাগে দু'বছর। ঝিনুক সংগ্রহ করা এবং সেগুলির মধ্যে ছাঁচ বসানো ইত্যাদির ক্ষেত্রে খুব একটা ব্যয় অথবা পরিশ্রম হয় না। কেবলমাত্র ধৈর্য ধরে পরিচর্চা করলেই লাভের মুখ দেখা যায়।
মতিউর রহমানের কথায়, দেশে যে ধরনের ঝিনুক পাওয়া যায় সেই ধরনের ঝিনুক বিদেশে খুব একটা পাওয়া যায় না। সেখানকার ঝিনুকের আকৃতি অনেক বড় হয়ে থাকে। যে কারণে মুক্ত চাষের ক্ষেত্রে খুব একটা উপযোগী নয়। সরকারিভাবে এই মুক্ত চাষের বিষয়ে ট্রেনিং না নিয়েই মুক্ত চাষ শুরু করেছেন। তবে সরকারিভাবে যদি ট্রেনিং দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে অন্যান্যরাও অনেকেই মুক্ত চাষ করার দিকে আগ্রহী হবেন। এই চাষের বিষয়ে অন্যান্যদের আগ্রহী করে তোলার ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের আশেপাশের যেসকল পুকুর রয়েছে সেই সকল পুকুরে অনায়াসে এই মুক্ত চাষ করা যেতে পারে। এর জন্য খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় এমনটা নয়।‘’
আরও পড়ুন: Durgapur : দুর্গাপুরে তৃণমূলের অফিসে 'ভাঙচুর, বোমাবাজি ও টাকা লুঠ', CCTV ফুটেজ দেখা গেল এই ছবি