অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়া, বীরভূম: 'আগে মেরেছে, তারপর গায়ে ডিজেল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা আর বেরতে পারেনি। পুলিশ বের করতে যায়নি। কেন যায়নি? পুলিশ সাহায্য করলে আমরা ওদের ফেরত পেতাম।' পুলিশের সামনে এভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মিহিলাল শেখের আত্মীয়রা। ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর, প্রাণভয়ে সাঁইথিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখের পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ (police)। তাদের সামনে ক্ষোভে-কান্নায় ফেটে পড়লেন আত্মীয়রা (relatives)।


মর্মান্তিক বর্ণনা
একজনের অভিযোগ, 'আমার নাতনি..বলছিল বাঁচাও বাঁচাও। আমি তখন ফোন করছি থানায়। পুলিশ গেল না। পুলিশ গেলে বেঁচে যেত, আমার বাচ্চা মেয়েটা বেঁচে যেত....' বলতে বলতে পুলিশের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। যেকোনও মূল্যে অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। দাবি আত্মীয়-পরিজনদের।


কী অভিযোগ?
প্রথম থেকে এই একটাই প্রশ্ন বারবার তুলে এনেছেন মর্মান্তিক হত্যালীলা ঘটে যাওয়া পরিবারটির জীবিত সদস্যরা (family member)।  কেন পুলিশ (police) আসেনি? বারবার সাহায্য চাইলেও পুলিশকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।


পুলিশের আশ্বাস, অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই, আশ্বাস পুলিশের।


যদিও শনাক্তকরণ ছাড়াই কী করে শেষকৃত্য হল, সেই প্রশ্ন তুলছে তারা। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। তাই রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখ।


এদিন রামপুরহাটকাণ্ডের প্রবল সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম (md selim)। তোলাবাজি-বখরার কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি তাঁর। গোটা ঘটনায় তৃণমূল থেকে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন সবকিছুই জড়িত রয়েছে বলে দাবি তাঁর। সিপিএমের (cpm) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'ঘটনার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল বাইরে, তাঁরা তদন্ত করবে? কাক কাকের মাংস খায়? এই রাজ্যে পুলিশও খুন হয়েছে। অপরাধীকে ধরা হয়নি।' 


আরও পড়ুন:  কাল দুপুর দুটোর মধ্যে পেশ করতে হবে কেস ডায়েরি, রিপোর্ট, রামপুরহাটকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ হাইকোর্টের