ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম: বীরভূমে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। এবার খয়রাশোলের ব্লক সভাপতিকে ফেসবুকে নিশানা করলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন ব্লক সভাপতিও। ভুল স্বীকার না করলে পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা তৃণমূল। 

গরুপাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত স্তরে জয়ের রাস্তা খুঁজছে তৃণমূল। নবজোয়ার যাত্রা চলছে। তখন অনুব্রতহীন বীরভূমে ফের সামনে এল শাসকদলের দ্বন্দ্ব। দলের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে এবার খয়রাশোলের ব্লক সভাপতিকে নিশানা করলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য । তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীকে আক্রমণ করে ফেসবুকে পোস্টে কেন্দ্রগড়িয়ার পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পান লেখেন, 'সুদীপ্ত ঘোষ (ছোড়দা) জিন্দাবাদ। তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ। রাজনীতির অবৈধ কারবারি কাঞ্চন অধিকারী মুর্দাবাদ।'

স্থানীয় সূত্রে খবর, কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে খয়রাশোল ব্লক? তা নিয়ে কাঞ্চন অধিকারী ও বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষের সংঘাত দীর্ঘদিনের। আর সুদীপ্ত ঘোষের অনুগামী হিসেবে পরিচিত রাজীব পান। ফেসবুক পোস্ট পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী। কাঞ্চন বলেন, 'বিজেপির মদত পুষ্ট। বিজেপি এসব করাচ্ছে। একজন দুষ্কৃতী। প্রশাসনকে জানিয়েছি। অনেকদিন আগেই দল ছেড়েছে।' তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, 'এসব তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল'। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ভুল স্বীকার না করলে দল ব্যবস্থা নেবে।' এনিয়ে কেন্দ্রগড়িয়ার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাজীব পানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল।

আগেও দ্বন্দ্ব:তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নতুন নয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলায় প্রকাশ্যে এসেছে দ্বন্দ্বের ছবি। মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুরে কমিটি তৈরি নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা কমিটি ঘোষণা নিয়ে মুর্শিদাবাদে জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে না জানানোর অভিযোগ তুলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন জেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের খান (abu Taher Khan)। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আবু তাহের খানের কথায়, 'আমি থাকছি না, তোমরা কর। আমি জানি না যেটা, আমার সঙ্গে আলোচনাই হয়নি, আমি লিস্টও তো দেখিনি। লিস্টটা এখন দেখাচ্ছো আমাকে' । সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুতির তৃণমূল বিধায়কও। জঙ্গিপুরেও (Jangipur) কমিটি ঘোষণার সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস।

আরও পড়ুন: ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য কী কী খেতে পারেন? রইল তারই তালিকা