কলকাতা : অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ের নামে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তাই বোলপুরে (Bolpur) গিয়ে এবার তৃণমূল নেতার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই (CBI)। এমনই খবর সূত্রের। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন সিবিআই-এর স্ক্যানারে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট-
এদিকে দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সঙ্গে যৌথ সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Joint Property with Anubrata Mondal)। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Supplementary Chargesheet) এমনই দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ৮০ পাতার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ৪৫টি সম্পত্তির নথি মিলেছে অনুব্রত, তাঁর পরিবার ও সায়গল হোসেনের নামে। কোনওটি সায়গলের সঙ্গে অনুব্রতর যৌথ সম্পত্তি, কোনওটি অনুব্রতর একার নামে, আবার কোনও সম্পত্তি তৃণমূল জেলা সভাপতির পরিবারের সদস্যদের নামে। সিবিআই সূত্রে খবর, চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ১৮০০ অস্ট্রেলিয়ান গরু পাচার করেছেন এনামুল হক। বিষয়টি জানতেন অনুব্রত মণ্ডল। চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের। খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন ; 'অনুব্রত-র ছায়াসঙ্গী ছিলেন অনুপম', খোঁচা জয়প্রকাশের
শুধু অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন নন, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে বীরভূমের বিভিন্ন থানার একাধিক পুলিশ কর্মী। খবর সূত্রের। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই পুলিশ কর্মীরা সায়গলের সঙ্গে যোগসাজশ করে এনামুল ও তার সহযোগীদের পাচারে সাহায্য করতেন। সায়গলের কললিস্ট খতিয়ে দেখে এই সমস্ত পুলিশকর্মীর নাম মিলেছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই তথ্য সামনে রেখেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় তারা। কার নির্দেশে কাজ করতেন এই পুলিশ কর্মীরা ? প্রয়োজনে ওই পুলিশ কর্মীদের তলব করে বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
এরই মধ্যে বোলপুরের সিয়ান এলাকায় বড়সড় খামারবাড়ি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কেয়ারটেকারের পরিবারের দাবি, মালিকের নাম অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় ৫০ বিঘা জমির ওপর ধান, মাছ, সবজি সব কিছুর চাষ হয়। কেয়ারটেকারের দাবি, বেশ কয়েকবছর আগে এই সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। যা চাষ হয়, সবই বাজারে বিক্রি হয়। খামারে গবাদি পশু না থাকলেও রয়েছে বড় বড় খড়ের গাদা। মাঝেমধ্যেই খামারবাড়িতে আসতেন অনুব্রত।
কেয়ারটেকারের এক আত্মীয়া অনুব্রতর বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।