সাঁইথিয়া, বীরভূম: গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam) অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ চালকল মালিক তথা তৃণমূল নেতাকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সিবিআইয়ের (CBI) প্রশ্নের মুখে সাঁইথিয়ার যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জীব মজুমদার। সূত্রের খবর, সঞ্জীব মজুমদারকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিবিআইয়ের ৫ জন অফিসার। অনুব্রতর সম্পত্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্র মারফত খবর।

 অনুব্রত বিপুল সম্পত্তির হদিসের পর ইতিমধ্যেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নজরে রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি এবং টাকার উৎস কোথায় ? এনিয়ে তদন্তে নামে সিবিআই। সম্প্রতি আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। গরুপাচারের টাকায় পরিচারক থেকে রাঁধুনির নামে অনুব্রত মণ্ডল সম্পত্তি কিনেছেন বলে বড়সড় অভিযোগ সামনে আসে। বলা হয়েছে, তাঁদের নামে অ্যাকউন্ট খুলে বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন করেছেন অনুব্রত। গরুপাচার মামলার চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। অনুব্রত মণ্ডল কাদের নামে সম্পত্তি কিনেছেন, সেই নামও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিবিআই চার্জশিটে যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক, কেউ আবার রাঁধুনি। তাঁদের নামে খোলা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের সপক্ষে গরু পাচার মামলার চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, এই বিপুল টাকা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে আসত গরু পাচারকারীদের থেকে। তারপর সেই টাকা দিয়ে পরিচারক, রাঁধুনিদের নামে বেনামি সম্পত্তি কিনতেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি।

আরও পড়ুন,মানিককে দেখানো হল জুতো, উঠল 'চোর' স্লোগান, কেন 'শাহ' ইস্যু টানলেন জয়প্রকাশ ?

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে, জেল থেকে বের করে আনতে হবে।'  তিনি আরও বলেন, ' প্রতিটা নির্বাচনে ওকে ঘরবন্দি করে দেয়। ভাবছেন জেলে বন্দি রেখে লোকসভা সিট দু’টো দখল করবেন। সে গুড়ে বালি'  ' দলনেত্রীর ওই মন্তব্যের পরই অনুব্রতর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা যায়। অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হদিশ ও আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে জানতে ফের ব্যাঙ্ক আদিকারিকদের ডেকে পাঠাল সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর আত্মীয় ও পরিচিতদের যে সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে, সেই সব ব্যাঙ্কের অফিসারদের নথ সহ তলব করা হয়। বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে একে একে আসেন ব্যাঙ্কের অফিসাররা।