ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Laborer Injured)। তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুরারই হাসপাতালে (Birbhum News) ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই রেল স্টেশনের কাছে, ডাঙাপাড়া গ্রামে।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, জখমের নাম লাবড়া মণ্ডল। তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলপাড়া গ্রামে। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে বনাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন লাবড়া। তাঁর বন্ধু সমর কুমার জানান, লাবড়া ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। মুরারই রেল স্টেশন পেরোতেই তিনি আচমকা ট্রেন থেকে পড়ে যান। বিষয়টি ট্রেনচালকের নজরে পড়লে তিনি মুরারই রেল স্টেশনের স্টেশনমাস্টারকে ম্যানেজারকে জানান। খবর পেয়ে মুরারই রেল স্টেশনের ম্যানেজার ও রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ে থাকা যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। রেলের উদ্যোগে তাঁকে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় পরে তাঁকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আগেও আহত...
এর আগে, গত নভেম্বরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। উল্টে যায় পরিযায়ী-শ্রমিক বোঝাই একটি বাস। এক জনের মৃত্যু হয়, জখম ১৬। ঘটনাটি ঘটে চোপড়া থানার কালাগছ উড়ালপুলের উপর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানে, কোচবিহার থেকে আসছিল বাসটি। অন্তত ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন তাতে। বিহারের পূর্ণিয়ার দিকে একটি ইটভাটার কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ভোর রাতে কালাগছ এলাকায় উড়ালপুলের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি। জখমদের উদ্ধার করে চোপড়ার দোলুয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করেছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছয় চোপড়া থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। তথ্য বলছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা একেবারে অপরিচিত নয়। নভেম্বরের প্রথম দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বেলা ১১টা। চার চাকার একটি গাড়ি তখন সজোরে তমলুক থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। আর উল্টো দিক থেকে আসছিল মোটরবাইক। হঠাৎ মুখোমুখি ধাক্কা লাগে দুটির। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাইকটিতে এক দম্পতি ছিলেন। সঙ্গে দুটি শিশুও ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের কন্যাগুরুকুলের কাছে ওই ঘটনায় গুরুতর আঘাত লাগে মহিলার। জখম অবস্থায় তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার পর কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথমত, একসঙ্গে এত জন মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন কেন? গতিবেগ কতটা ছিল? ট্র্যাফিক আইন মানা হয়েছিল কি? এর সপ্তাহদুয়েক আগেই উলুবেড়িয়ার জগৎপুরে বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল মা-মেয়ের।