পার্থপ্রতিম ঘোষ এবং সন্দীপ সরকার রামপুরহাট: নৃশংস হত্যালীলার জেরে থমথমে বগটুই। বাতাসে এখনও পোড়া গন্ধ। এর মধ্যেই আজ দুপুরে বগটুই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। আজ বগটুই যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। ৫ সদস্যের এই দলে থাকছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজি ও রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ও সাংসদ সত্যপাল সিং, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামমূর্তি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ। 


গ্রামে বসল সিসি ক্যামেরা


এদিকে, বগটুইকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গ্রামে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ৩০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলি ছাড়াও গ্রামের প্রতিটি কোণায় সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।


অন্যদিকে, রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এখানেই বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ নামবে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। হেলিপ্যাড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে সার্কিট হাউসে পৌঁছে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বগটুই গ্রাম।সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আহতদের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। গতকালই তাঁদের আইসিইউ থেকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন, দূর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয়ে মৃতদেহ সৎকার! বগটুইকাণ্ডে মৃতদের শেষকৃত্য ঘিরে বিতর্ক


ছোট আঙারিয়ার স্মৃতি


রামপুরহাটকাণ্ড উসকে দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার (Garbeta) ছোট আঙারিয়ার (Choto Angaria) ঘটনার স্মৃতি। ২১ বছরেরও বেশি আগে তৃণমূল কর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে বোমা ছুড়ে, আগুন লাগিয়ে ৫ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। বাম জমানার ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রামপুরহাটকাণ্ডের রেশ ধরে আবার তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।


রামপুরহাটের ঘটনা মনে করিয়ে দিল ২১ বছর আগের একদিন। বগটুইকাণ্ডের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ছোট আঙারিয়ার ঘটনা স্মৃতিতে ফিরতেই নানা মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।