ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের (Kolkata SSKM) পরিষেবা নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সেই আবহেই রামপুরহাট মেডিক্যালের পরিষেবা (Rampurhat Medical Services) নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)।


শতাব্দী জানান, হাসপাতালে রোগী পরিষেবা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে বৈঠকে অভিযোগ করা হয়েছে। সম্প্রতি নলহাটি থানার পাখা গ্রামের এক গুলিবিদ্ধ যুবকের চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ করেন শতাব্দী। তাঁর দাবি,'গুলিবিদ্ধ যুবকের চিকিৎসার ব্যাপারে একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করা হলেও ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসা করতে না পেরে পরের দিন বিকেলে ওই রোগীকে রেফার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।'


অভিযোগ তুলেছেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রবিবার তা নিয়ে হাসপাতালে দীর্ঘ বৈঠক হয়। হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, 'হাসপাতালের পরিষেবার উন্নতি এবং পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে ফলপ্রস আলোচনা হয়েছে।' রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'হাসপাতালে দালাল চক্রের মাধ্যমে যখন তখন রোগীকে ছাড়িয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হচ্ছে।'


জেলাশাসক বলেন,'হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব, এসএনসিইউ বিভাগে চিকিৎসকের অভাব, এমআরআই পরিষেবা চালু-সহ হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে লিখিত আকারে জেলাশাসককে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে যাতে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক হয় সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।'


রবিবার রামপুরহাট সেচপল্লি সংলগ্ন সার্কিট হাউসে দুপুর তিনটে থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দুটি পর্যায়ে ওই বৈঠক হয়। প্রথম পর্যায়ের বৈঠকে সাংসদ শতাব্দী, বিধায়ক আশিস ছাড়াও জেলার আর এক সাংসদ অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায় রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সাদ্দাম নাভাস ও রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র। 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


প্রসঙ্গত, শুক্রবার মাঝরাতে, বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে এসএসকেএমে ভর্তি করাতে নিজে ছুটে যান মদন মিত্র। এরপর,SSKM কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শনিবার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর বেনজির সংঘাত তৈরি হয়। খোদ মদন মিত্র এসএসকেএম বয়কটের ডাক দেন।এরপর, পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আহত যুবককে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে।  রবিবার, আহত যুবককে দেখতে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে যান মদন মিত্র। সেখানে গিয়ে শনিবারের বক্তব্যের উল্টো সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। তিনি বলেন, 'এসএসকেএমে পরিষেবা পেলে মানুষ নিশ্চয় যাবেন, যাঁদের মনে হয়েছে তাঁরা এফআইআর করেছেন। হাসপাতালের কোনও কর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার উপস্থিতিতে কেউ আঘাত পেলে আমি দুঃখিত।'