কলকাতা : মহানগরে মহাটক্কর। কার্যত প্রথম সারির প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আজ কলকাতার রাস্তায়। একদিকে যখন শহিদ মিনার চত্বরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় যোগ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), অন্যদিকে রেড রোডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধর্নায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাল্টা শ্যামবাজারে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের দুর্নীতির অভিযোগে অবস্থানে বিজেপি। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে মমতা-অভিষেকের ভিন্ন মঞ্চ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 'একা ভাইপো ফুটেজ খাবে কেন ? তাই পিসিও উল্টো দিকে বসে গেছেন', বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। 


মহানগরে শক্তিপরীক্ষা-


পঞ্চায়েত ভোট কবে ? দিনঘোষণার আগেই পথে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধীরা। চলছে শক্তিপরীক্ষা। আজ রেড রোডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলনেত্রী। এর পাল্টা শ্যামবাজারে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের দুর্নীতির অভিযোগে অবস্থান করছে বিজেপি। অন্যদিকে, গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দেওয়ার পর  শহিদ মিনার চত্বরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইভাবে কেন্দ্রের বঞ্চনা, রাজ্যের দুর্নীতির অভিযোগে রাস্তায় সিপিএম। বিমান বসুর নেতৃত্বে রামলীলা পার্ক থেকে মিছিল। মৌলালিতে মেশে কংগ্রেসের মিছিলও।


বুধবারের তপ্ত দুপুরের আঁচ যেন মহানগরের রাজনীতিতে। কমবেশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাই একের অপরকে বিঁধলেন। প্রত্যাশা মতোই শুভেন্দুর নিশানায় আগাগোড়া ছিলেন মমতা-অভিষেক। বিরোধী দলনেতা বলেন, "আমাদের রাজ্যের কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন। সেখানে এয়ারকুলারের ব্যবস্থা আছে। ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা আছে। দুধ এবং চিনি ছাড়া ভাল লিকার চা, কফি ইত্যাদি সমস্ত ব্যবস্থা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথেকে বেশি ভালবাসেন নিজেকে। তাঁর অত্যন্ত আদরের প্রিয় ভাইপো কয়েকশো মিটার দূরে শহিদ মিনারে আস্ফালনের ডাক দিয়েছিলেন। তাই একা ভাইপো ফুটেজ খাবে কেন, তাই পিসিও উল্টো দিকে বসে গেছেন। পিসি তাঁর ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রী, যাঁরা মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়েছেন সংবিধানকে সামনে রেখে, তাঁরা এভাবে ধর্না দিতে পারেন না। কিন্তু, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোনও কিছু মানেন না। তিনি সবসময় একটা জিনিসই মানেন, এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং।" 


আরও পড়ুন ; মোদি-মন্তব্যে রাহুল শাস্তি পেলে, দিদি ও দিদিইইই মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ যাবে না কেন, প্রশ্ন অভিষেকের