কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : তৃণমূলের জয়ের দিন হাজরায় বিক্ষোভের মুখে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আশুতোষ কলেজের (Aushotosh College) বাইরে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। আশুতোষ কলেজের ছাত্রদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলনেতাকে ঘিরে। পুলওয়ামায় (Pulwama) নিহত জওয়ানদের স্মৃতিতে মালা দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু । তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ (Agitation) দেখানো হয়।
আজ আশুতোষ কলেজ লাগোয়া বসন্ত বোস রোডে পুলওয়ামা দিবস উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ঘোষিত অনুষ্ঠান ছিল। শ্যামাপ্রসাদ অনুশীলন কেন্দ্র পরিচালন সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী আসার আগেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন আশুতোষ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু সদস্য। শুভেন্দু আসতেই তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন। জোর করে সরিয়ে দেন। সেই জন্যই তাঁরা এই কাজ করেছেন। একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন। সেই ঘৃণা থেকেই একাজ করেছেন তাঁরা। শুভেন্দু আসতেই সেখানে গানের তালে তালে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিশাল জটলা তৈরি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়। অনুষ্ঠানে মাল্যদান করার পরেই বেরিয়ে যান শুভেন্দু।
আরও পড়ুন ; নেতাইয়ে ঢুকতে বাধা, পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, গত মাসে নেতাইয়ে ‘শহীদ স্মরণে’ থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেয় পুলিশ। এই ঘটনার জেরে প্রায় ২৫ মিনিট পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দুর বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে শুভেন্দু বলেন, "হাইকোর্টের আদেশ নিয়েই এখানে এসেছিলাম, পুলিশ বাধা দিয়েছে। একাই নেতাইয়ে ঢুকতে চেয়েছিলাম, পুলিশ অনুমতি দেয়নি।"
ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে মৃতদের স্মরণে ৭ জানুয়ারি শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়ে ২ জানুয়ারি রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায়, তাঁকে যাওয়া-আসার সময়েও নিরাপত্তা দেবে সরকার, এর আগে এমনটাই জানান হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ের গণহত্যার পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ওই দিনটিকে নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী।