বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: গত কালই পদত্যাগ করেছিলেন মণ্ডল সভাপতি (BJP Leader), আর আজ সামিল হলেন বিক্ষোভে (Agitation)। সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করলেন, নন্দীগ্রামে (Nandigram) পুরনো বিজেপি কর্মীরা আজকে অবহেলিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Infigting)।


কী হয়েছে?
নন্দীগ্রামে মণ্ডল বিভাজনকে কেন্দ্র করে গতকালই পদত্যাগ করেছিলেন মণ্ডল সভাপতি চন্দ্রকান্ত মণ্ডল। আজ জানালেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। পদত্যাগী মণ্ডল সভাপতির অভিযোগ, অনুগামীদের প্রাধান্য বাড়ছে। কোনও এক জন ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করতে এই সব করা হচ্ছে, অভিযোগ তাঁর। চন্দ্রকান্তের আরও দাবি, পদ্মফুলকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে অন্য ফুলকে আনতে চাওয়া হচ্ছে। এই বিভাজনে দলের জেলা সভাপতি ও রাজ্য সভাপতি অবশ্য কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বিজেপি জেলা সভাপতি আবার এই অভিযোগ অস্বীকারও করেছেন। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'দলের নিয়ম মেনেই মণ্ডল বিভাজন করা হয়েছে।' গোটা ইস্যুতে বিজেপিকে বিধেছে তৃণমূল ও সিপিএম।


অন্তর্কলহ তৃণমূলে...
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। এরকম একটা সময়ে রায়গঞ্জে শাসকদলের অন্দরেও দ্বন্দ্বের খবর সামনে চলে এল। রায়গঞ্জ পুর এলাকায় তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে, বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শাসকদলেরই নেতা রায়গঞ্জ পুরসভার সহকারী পুরপ্রশাসক।২৭ ওয়ার্ডের রায়গঞ্জ পুরসভা। আগেই মেয়াদ ফুরিয়েছে এই পুরসভার। গত বছর এপ্রিল মাসে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। এখন পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ৩ সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলী। এখানকার ২৭টি ওয়ার্ডে কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিদায়ী কাউন্সিলররা। এভাবেই চলছিল। তার মধ্যেই প্রতি ওয়ার্ডে নিজের মনোনীত প্রতিনিধি বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়কের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে শাসকদলেরই একাংশ। বিতর্ক শুরু হয়েছে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রকাশ করা তালিকাকে ঘিরে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডেই নিজের মনোনীত প্রতিনিধি বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটের পর, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক নিজের ফেসবুক পেজেও সেকথা জানিয়ে দেন।বিধায়কের এই তালিকা যে তাঁরা মানছেন না, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার সহকারী প্রশাসক। রায়গঞ্জ পুরসভার সহকারী প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকার বলেন, দলে পদ দিতে পারেন একমাত্র মমতা ও অভিষেক। তার বাইরে কেউ পদ সৃষ্টি করতে পারে না। তাই আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। বিধায়কের অভিজ্ঞতা কম। তার হয়তো কোম্পানি চালানোর অভিজ্ঞতা আছে, দল চালানোর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তার এটাই প্রমাণ। 


আরও পড়ুন:আদিবাসী কুড়মিদের আন্দোলনের জের, বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা, কোন কোন ট্রেন বাতিল?