হিন্দোল দে , অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা:  আজ কলকাতায় বিজেপির মহামিছিল। কর্মসূচির নাম, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিল।  সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত  হাঁটবেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। দুপুর থেকেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত এবং জেলা থেকে এসেছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। মিছিলের শেষে সমাবেশ। সুবোধ মল্লিক থেকে এন এন ব্যানার্জি রোড হয়ে মিছিল এগোবে। পুরভাগে আছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।  মিছিলটি ৫ ভাগে ভাগ হয়ে গন্তব্যে এগোবে। সামনে থাকবেন, সুকান্ত মজুমদার , দিলীপ ঘোষ , শুভেন্দু অধিকারী , অগ্নিমিত্রা পাল, রাহুল সিনহা প্রমুখ। মিছিলে তৃণমূল সরকারকে ব্যাঙ্গ করে, হাতে চপ মুড়ি হাতে মিছিলে সামিল হন বিজেপি কর্মীরা। 


আগামী ৫ মে শিলিগুড়িতেও সভা করবে বিজেপি। সেখানে থাকার কথা অমিত শাহের। 

আরও পড়ুন :


রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে আজ কলকাতায় মহামিছিল BJP-র, সকালে গঙ্গায় দিলীপের তর্পণ


বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ও গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের ডাক দিয়ে পথে নামছে তারা। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে - গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিল। সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ' আজকের দিনেই আমাদের কর্মীদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার হয়েছিল। দিনটিকে আমরা ভুলব না। কাউকে ভুলতেও দেব না। সেই কারণেই এই মহামিছিল।' 


সোমবার, রাজ্যে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি। এই রাজ্যে হিংসার ঘটনার উল্লেখ করে ট্যুইট করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, ' বহু বিজেপি কর্মী ও তাঁদের পরিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার দিন থেকে  রাজ্যে লাগাতার হিংসার শিকার হয়েছেন। '  ট্যুইটারে তাঁর অভিযোগ, ' মহিলাদের ধর্ষণ ও ও নিগ্রহ করা হয়েছে। বাড়ি ঘর পোড়ানো হয়েছে। খুন হয়েছেন অনেকে। লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছেন। ' 


তৃণমূল সরকারের একাদশতম বর্ষপূর্তির আগেই রবিবার কলকাতা জুড়ে বিজেপির ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হোর্ডিং পড়ে যায় । শাসকদলের বর্ষপূর্তি কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের তরফে পাল্টা ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংকল্প সপ্তাহ পালনের ডাক দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চাঁদনি চক, ধর্মতলা, তালতলা, জানবাজার ও শহরের কেন্দ্রস্থল ডোরিনা ক্রসিংয়েও লাগানো হয় বিজেপির হোর্ডিং।