আশাবুল হোসেন, কলকাতা : এরপরই বিধানসভার অধ্যক্ষের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হলেন বিরোধী দলনেতা। 


বিধানসভা কক্ষের বাইরে এসে বিক্ষোভ


আগের দিন বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপি 'ডুয়েল'।  সূত্রপাত, বিজেপির মুলতবি প্রস্তাব ঘিরে। রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে একটি মুলতবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি। কিন্তু সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। শুধু মুলতুবি প্রস্তাব পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর পরই ওয়াকআউট করে বিজেপি। বিধানসভা কক্ষের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। স্লোগান ওঠে ' তৃণমূলে সবাই চোর। পিসি চোর, ভাইপো চোর'  ঠিক সেই সময়ই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূল বিধায়করা। আম্বেদকারের মূর্তিতে মালা দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের দেখেই চোর স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা শোনা যায় জয় বাংলা স্লোগানও।  

বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা একে অপরকে স্লোগান ও বাক্যবাণে জর্জরিত করে। এরপরই এরপরই বিধানসভার অধ্যক্ষের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দুকে। তৃণমূলের উদ্দেশে আক্রমণ শাণিয়ে তিনি বলেন, 'জনগণ আমাদের পাঠিয়েছে সই করে ভাতা নেওয়ার জন্য নাকি? তাই বিজেপির যা কাজ আমরা তাই করেছি'  


৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি TMC র


বিধানসভায় ৩ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে খোদ শাসক দল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। দুপুর ৩-৫ টা আম্বেদকারের মূর্তির সামনে কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা। অর্থাৎ, বুধবার অমিত শাহ যখন ধর্মতলায় সভা করবেন, তখন বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে প্রতিবাদ জানাবে রাজ্যের শাসকদল।
তার আগের দিন, চোর স্লোগান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। 


এর আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ এবং ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ে দিল্লিতে ধর্না-অবস্থান করে তৃণমূল। ফিরে এসে রাজভবনের সামনেও ধর্নায় বসেন তারা।                                                     


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন:      


ম্যাল, টয় ট্রেন, চায়ের নস্টালজিয়া, কাঞ্চনজঙ্ঘার হাতছানি, আর কী দেখবেন দার্জিলিংয়ে ?