দীপক ঘোষ ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানের (Nabanna Avijan) আঁচ বিধানসভায়। শাসক-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা (West Bengal Assembly) চত্বর। অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান দিয়ে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ। পাল্টা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার নিয়ে বিধানসভা চত্বরে তৃণমূলের (Trinamool Congress) মিছিল। দুর্নীতি ইস্যুতে এদিন রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চায়। অধ্যক্ষ জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।এর প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা নবান্ন অভিযানে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল। নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে বিধানসভায় সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। পাশাপাশি, টাকা উদ্ধারকাণ্ডেও বিজেপি বিধায়কদের সরব হতে নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। খবর সূত্রের।
নবান্ন অভিযানের আঁচ বিধানসভায়: সূত্রের খবর বিধানসভার পরিস্থিতি উত্তপ্ত যে হবে, তা আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল। গত ১৩ সেপ্টেম্বর শাসক-বিরোধীদের মধ্যে যে উত্তাপ তৈরি হয়েছিল, তা আছড়ে পড়ল বিধানসভায় (West Bengal)। নির্দেশ মোতাবেক, প্রচুর পরিমাণে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল বিধানসভার আন্দরে। অন্যান্য দিনের তুলনায় মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। এদিন বিধানসভায় পোস্টার হাতে ঢোকে শাসক এবং বিরোধী পক্ষ। বিধানসভায় যখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে, সেই সময় দেখা যায় বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আসে। দুর্নীতির ইস্যুতে আলোচনা চায়। স্পিকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানান, এটা হতে পারে না। পোস্টার (Poster) নিয়ে বিধানসভার অন্দরেই স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের বিধায়কা পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান। সেই পোস্টার ছিল মূলত শুভেন্দুকে আক্রমণ করে। সেই পোস্টারে লেখা ছিল, ৫৬ ইঞ্চি বলছে, আমি পুরুষ আমাকে মহিলা যেন টাচ না করে। সেই পোস্টার নিয়েই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এদিন দুই দলই নিজেদের সংযত রেখেছিল। কেউ ওয়েলে নেমে আসেনি। নিজেদের বেঞ্চে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পরে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।