কলকাতা: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের মামলায় (Krishnaganj EX TMC MLA Satyajit Biswas Murder case) বুধবার বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় (BJP MLA Mukul Roy) ও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে(BJP MP Jagannath Sarkar)। আজ এই রায় দেয় বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের বিশেষ আদালতের বিচারক। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মামলা চলার পর এই রায় দিলেন বিচারক। 


আরও পড়ুন: RG Kar Protest : 'রাত দখলের নামে রাস্তায় বসে মদ খাচ্ছে মেয়েরা, বাবা-মায়েরা খোঁজ রাখেন?' কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রীর


২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর আগের রাতে হাঁসখালির মাজিদপুর দক্ষিণ পাড়ার ফুলবাড়ি ফুটবল মাঠে আমরা সবাই ক্লাবের উদ্যোগে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজকদের অনুরোধে তা দেখতে গিয়েছিলেন তৎকালীন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান দেখার সময় একবারে সামনে থেকে কৃষ্ণগঞ্জের দুবারের বিধায়ক সত্যজিৎ-কে একদম কাছ থেকে গুলি করে মারে দুষ্কৃতীরা। প্রথমে হাঁসখালি থানার পুলিশ সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের তদন্ত করলেও পরে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে। তদন্তে অগ্রগতির জন্য গঠিত হয় বিশেষ তদন্তকারী দলও। গুলি চালানোর অভিযোগে সুজিত মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডল নামে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। প্রথম চার্জশিট নাম না থাকলেও পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা মুকুল রায় ও রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নামে সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। তারপর থেকে মোট ৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। 


আরও পড়ুন: Gaighata News: জবর দখল হওয়া ভেড়ি কাটার নির্দেশ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতির


মামলা দায়ের হওয়ার পর দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে শুনানি চলে বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের বিশেষ আদালতে। উভয়পক্ষের আইনজীবী ও ৫২ জন সাক্ষীর কথা শোনার পর বুধবার বিশেষ আদালতের বিচারক কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় ও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Abhishek On RG Kar Protest: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনেছে সরকার, এবার কর্মবিরতি তুলে নেওয়া উচিত : অভিষেক