কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় একদিকে উত্তাল গোটা দেশ। অন্য দিকে, হাসপাতালকে ঘিরে দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগও সামনে আসছে। সেই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর জি কর দুর্নীতিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি। (RG Kar Case) পাশাপাশি, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনে ধৃতই আসল দোষী কি না, সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত।


শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত। সেখানেই সরাসরি মমতাকে নিশানা করেন তিনি। সুকান্ত বলেন, তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা নানা কথা বলছেন। সঞ্জয়কে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, সঞ্জয়ের গ্রেফতারি এবং তার যোগদান নিয়ে আমাদের মনেও সন্দেহ রয়েছে। আমরা যতটা খোঁজ পেয়েছি, সেই রাতে সঞ্জয় প্রায় চার বার মদ্যপান করে। দু'বার রেডলাইট এলাকা থেকেও ঘুরে আসে। সেই অবস্থায় তার পক্ষে সুস্থ-সবল যুবতী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করা সম্ভব কি না, আমাদের মনেও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।" (Sukanta Majumdar)


সুকান্ত আরও বলেন, "খুনের পর মিটিংয়ে বসেছিল সন্দীপ ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি। একজন উকিলও এসেছিলেন, যিনি রোগী কল্যাণ কমিটির সদস্য। সেই মিটিংয়ে ঠিক হয় আত্মহত্যা হবে বলে দেখানো হবে। এমনি এমনি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ফোন যায়নি মা-বাবার কাছে। এ তো ভয়ঙ্কর অবস্থা! নিয়ে গিয়ে থার্ড ডিগ্রি দেওয়া উচিত সিবিআই-এর।"


আরও পড়ুন: RG Kar Case Update: CBI তদন্ত নিয়ে ধৈর্যচ্যুতি? ডাক্তারদের সঙ্গে আন্দোলনে এবার নির্যাতিতার বাবা-মাও?


তবে সুকান্ত একা নন, সঞ্জয় সম্পর্কে সন্দিহান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও। তাঁর বক্তব্য, "সঞ্জয় যেন ধনঞ্জয় না হয়। ধনঞ্জয়কে ফাঁসিকাঠে ঝুলতে হয়েছে। পরে রিপোর্টে দেখা যায় ধনঞ্জয় ততটা দোষী ছিল না। সঞ্জয়ের পিছনে আর কেউ আছে কি না দেখতে হবে।" চন্দ্রনাথের এই মন্তব্যকে কার্যতই সমর্থন করেন সুকান্ত।


আর জি করের ঘটনায় হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আর জি কর ফাঁড়ির ওসি, চিকিৎসক খুনের দিন হাসপাতালে কর্তব্যরত ASI সমর পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ASI অনুপ দত্তকেও। এদিন মোট ১২ জন পুলিশ অফিসার ও কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এর মধ্য়ে দুই ASI অনুপ দত্ত ও সমর পালের সঙ্গে ধৃত সঞ্জয় রায়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল।