কলকাতা : তড়িঘড়ি করে মেয়ের মৃতদেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছে, উদ্দেশ্য ছিল কিছু ধামাচাপা দেওয়ার, এমন অভিযোগ আগেই এনেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এবার ধর্ষণ-খুনের পর তাড়াহুড়ো করে নির্যাতিতার দাহ করে ফেলা হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই ব্যাপারে পুলিশ যেমন তাড়াহুড়ো করেছে, তেমনই বিষয়টি পুরোটা তত্ত্বাবধান করেছেন এক তৃণমূল বিধায়ক, অভিযোগ তাঁর। 


আর জি কর মেডিক্যালের চিকিৎসকের দেহ-দাহ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পোস্টে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন,'শ্মশানে গোটা অপারেশনটি হয়েছে পুলিশের তত্ত্বাবধানে। অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে গোটা বিষয়টির তত্ত্বাবধানে ছিলেন DC নর্থ অভিষেক গুপ্ত।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই IC। পুরো অপারেশনটি নজরে রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের DG । এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। তাহলেই হয়তো ধামাচাপা দেওয়ার কারণ প্রকাশ্যে আসবে।' সোশাল মিডিয়ায় এই পোস্ট করে CBI-এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। 


আরও পড়ুন : পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি, ৬ সেপ্টেম্বর অবধি জেল হোফাজত সঞ্জয়ের


এর আগেও তড়িঘড়ি দাহ করা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন  নির্যাতিতার বাবা - মা। নির্যাতিতার বাবা-মা জানান, তাঁরা সৎকারের সময় একটা চাপ দেখেছিলেন। রাস্তায় জ্যাম ছিল,  ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার। কিন্তু পুলিশ তাড়া দিচ্ছিল।  ৫০ কিমি বেগে শববাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। আগেই এই কথা বলেছিলেন  নিহত চিকিৎসকের বাবা।


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে শ্মশানঘাটে আগে থেকে লাইন দেওয়া দুটি মৃতদেহ পেরিয়ে দাহ করে দেওয়া হল নির্যাতিতার দেহ, কেন এত তাড়াহুড়ো ? 


বিজেপির তোলা অভিযোগগুলিকে আমল দিতে চাননি পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তাঁর দাবি, ' ছোটবেলা থেকে চিনতাম, বিধায়ক হিসেবে কর্তব্যপালন করতে শ্মশানে উপস্থিত ছিলাম। ' 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনীতি করছেন শুভেন্দু', প্রতিক্রিয়া জয়প্রকাশ মজুমদারের।