সনৎ ঝা, দার্জিলিং : বাংলায় প্রথম দফায় ২০টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। এই তালিকায় আছেন গতবার জেতা ৯ সাংসদ। কোচবিহারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক এবারও প্রার্থী হচ্ছেন। এরই মধ্যে বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ।


লোকসভা ভোটের মুখে বেসুরো গাইছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ । তাঁর ক্ষোভ,  'রাজ্য বিজেপি আমাকে ডাস্টবিন করে রেখেছে। কেউ কোনও যোগাযোগই রাখে না। প্রার্থী বাছাই নিয়েও আলোচনা করা হয়নি। '


কোচবিহারে লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা হতেই এই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ তাঁর। অনন্ত মহারাজ দাবি করেছেন, লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হবে বলে তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগের দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করে জানিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,  বারবার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনন্ত রায়। 


অনন্ত মহারাজের দাবি, ভোটের বাক্সে এর জবাব দেবে কি না, এবার তা ঠিক করবে উত্তরবঙ্গের মানুষ। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ মুখ খোলায় পাল্টে যেতে পারে উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভোটব্যাঙ্কের সমীকরণ? উত্তরের জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। 


কোচবিহারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর রাজবংশী ভোট। এই জেলায় প্রায় ৩৪ শতাংশ রাজবংশী ভোটার রয়েছেন। আর কোচবিহারের রাজনৈতিক সমীকরণের ক্ষেত্রে, GCPA’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, অনন্ত রায়ের ভূমিকা অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তঁর সঙ্গে দেখা করতে, অসমে পৌঁছে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। এই অনন্ত মহারাজই এখন বেসুরো হয়েছেন। তাহলে কি লোকসভা ভোটে তার প্রভাব পড়বে ?  


২০১৯-এর লোকসভা ভোটে, কোচবিহার কেন্দ্রে জেতে বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৬টিতেই জেতে বিজেপি। পরে বিধানসভা উপনির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। সদ্য় সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটেও কোচবিহার জেলায় কার্যত তৃণমূলের একাধিপত্য় দেখা গেছে। এবার লোকসভা ভোটে কি হবে? রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক কি থাকবে নিশীথের অনুকূলে ?    


আরও পড়ুন, আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, ভোটের ময়দানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়