সমীরণ পাল, অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা : সন্দেশখালিতে ( Sandeshkhali ) ইডি ও সিআরপিএফের হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে এখন সিআইডি ( CID ) হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান ( Shekh Sahajahan ) । গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে ৬ বছরের জন্য় সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির পর রবিবার সন্দেশখালিতে প্রথম রাজনৈতিক সভা থেকে সাসপেন্ডেড নেতাকে দরাজ সার্টিফিকেট দলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্য়ান নির্মল ঘোষ। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে ১০ মার্চ ব্রিগেডে 'জনগর্জন সভা'র ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিগেডের সভার প্রস্তুতিতে কলকাতা ও জেলায়, জেলায় প্রস্তুতি সভা করছে শাসক দল। এদিন সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকে বেড়মজুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর রিফিউজি জুনিয়র বেসিক সকুলের মাঠে প্রস্তুতি সভা থেকে শেখ শাহজাহানের পাশে দাঁড়ালেন নির্মল ঘোষ।


 উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল জেলা কোর কমিটির চেয়ারম্য়ান নির্মল ঘোষ বলেন ,  শেখ শাহজাহান মানুষের মনে আছে ! এই সভা থেকেই দলের জেলা কোর কমিটির চেয়ারম্য়ানের উল্টো সুর শোনা গেল দকমলমন্ত্রী সুজিত বসুর গলায়। তিনি বলেন, 'কিছু সমস্য়া হয়েছে। ভুল করলে শাস্তি হবে।' রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেছেন, ' সব মহিলার উপর নির্যাতন হয়নি। অনেকে তো মুখ ঢেকে আসছেন। তাঁদেরকে দেখা যাচ্ছে না। ' 


লোকসভা ভোটের মুখে সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় বঙ্গ। রাজ্য়ে এসে এই ইস্য়ুতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রেক্ষাপটেই ধৃত শেখ শাহজাহানকে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির চেয়ারম্য়ানের দরাজ সার্টিফিকেটে আরও চড়ল তরজার পারদ।


গ্রেফতার হয়েছে শেখ শাহজাহান। কিন্তু, আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়েনি  সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের মনে পড়ে যাচ্ছে ৭ বছর আগের ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা। শাহজাহান বাহিনীর কটূক্তির প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল এক গৃহবধূকে! গুলিও চলেছিল বলে অভিযোগ। সেই মহিলার এখনও মানসিক পরিস্থিতি ঠিক হয়নি বলে দাবি তাঁর স্বামীর। এলাকায় কান পাতলে সেই সব আতঙ্কের দিনরাত্রির কথা শোনা যাচ্ছে এখনও। অথচ এরই মাঝে শাসক দলেরই এক নেতা দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন শেখ শাহজাহানকে। 


ব্রিগেডের সভার প্রস্তুতিতে রবিবার টালিগঞ্জেও সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, নারী ও শিশু কল্য়াণমন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রস্তুতি সভা থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। 


আরও পড়ুন, আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, ভোটের ময়দানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়