পূর্ব মেদিনীপুর: ভোটের (panchayat election) আগেই ভোটের 'রেজাল্ট' (result) শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) মুখে! নন্দীগ্রামের (nandigram) সভা থেকে তাঁর হুঙ্কার, '১৭টি পঞ্চায়েতের (panchayat) মধ্যে ১২টি বিজেপির হাতে যাবে। ১৭টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েতের প্রধান হবে বিজেপির। আর বাকি পাঁচটির প্রধান কে হবেন, সেটিও বিজেপির সদস্যরাই ঠিক করবেন।'
আর কী...
এতেই শেষ নয়। বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, ২টি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধী দলনেতার মুখে ফের শোনা গেল ডিসেম্বর সাসপেন্সের কথাও। বললেন, 'আরও কোণঠাসা হবে সরকার। অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হবে।` গরুপাচার-কাণ্ডে যে আরও গ্রেফতারি হতে চলেছে, সেই নিয়ে হুঙ্কার শোনা গেল তাঁর কথায়।
কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের?
'উনি মানসিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন', প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের। সঙ্গে কটাক্ষ, 'যিনি নিজের পুর এলাকায় জিততে পারেন না, যিনি সমবায় ভোটে জিততে পারেন না, নিজের দলকে জেতাতে পারেন না, তিনি সেখানে এই সব দিবাস্বপ্ন দেখছেন?' তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, ওঁরা ইডি-সিবিআইকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। 'ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না', আরও সংযোজন শান্তনু সেনের। প্রসঙ্গত, টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা তুলেছিলেন এদিনই তারও জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বলেন, "কোথাও টেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। কোন নম্বর থেকে এসএমএস, জানান বিরোধী দলনেতা।" রবিবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বলেন, "তাঁর কাছে নির্দিষ্ট নম্বর থেকে যদি ফোন আসে,, তাহলে তো তা জানানো উচিত, যাতে সরকার সুষ্ঠ ভাবে পরীক্ষা নিতে পারে! তিনি তো এ রাজ্যেরই বিরোধী দলনেতা! রাজ্যে পরীক্ষা যাতে ভাল ভাবে হয়, তাতে সহযোগিতা কার উচিত। তা না করে ভুয়ো কথা ছড়াচ্ছেন। এতে কীই বা বলতে পারি! একটি মাত্র প্রশ্নপত্র ঘুরছিল, তার উত্তরপত্রও ছিল। দু'টোই সম্পূর্ণ ভুয়ো। কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।" প্রসঙ্গত, হালেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, "আমাদের কাছে খবর আছে, প্রশ্ন ফাঁস করতে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন আসছে। প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন বলে দেওয়া হবে। ওই দেখে আপনারা পরীক্ষা দিতে পারবেন। তারপর বাকি ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে।"এদিন সেই অভিযোগেরই জবাব দেন ব্রাত্য।