কলকাতা: 'যতই উস্কে দেওয়া হোক না কেন, আগামীদিনেও নবান্ন-রাজভবন মিলেমিশে কাজ করবে।' উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের শেষে মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)।'রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক নিয়ে অতীতের পুনরাবৃত্তি আর হবে না। রাজ্যপাল সবার, তিনি কোনও নির্দিষ্ট দলের নন। এটাই বলতে চেয়েছেন রাজ্যপাল,’ রাজভবনে বৈঠকের পর মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister)।


রাজভবনে বৈঠক: শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যদের নিয়ে রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। বৈঠকের শেষে ৩ মাসের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর নিয়োগপত্র দেওয়া হল রাজ্যপালের তরফে।২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর মেয়াদ ফুরিয়ে এলেও নিয়োগপত্রে সই করেননি আগের রাজ্যপাল।আইনি জটিলতা কাটাতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আজ বৈঠক করেন রাজ্যপালের সঙ্গে।বৈঠকে উপস্থিত উপাচার্যরা পদত্যাগ করে রাজ্যপালের কাছ থেকে পেলেন ৩ মাসের নিয়োগপত্র।আগামীকাল আরও উপাচার্যরা পদত্যাগ করে নিয়মমাফিক নিয়োগপত্র পাবেন, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।


রাজ্য়পাল এবং রাজ্য় সরকারের সম্পর্ক ঠিক কোন খাতে বইছে? নতুন করে সেই জল্পনা উস্কে দিল মঙ্গলবারের ছবি।উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুকে পাশে নিয়েসাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোসগত কয়েকদিনের সংঘাতের আবহে এই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক অবশ্য়ই সবার নজর কেড়েছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা নিয়েরবিবার কড়া বিবৃতি জারি করেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস।                                                             


আর তারপরই তৃণমূলের মুখপত্রে রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে ধারাল আক্রমণ শানিয়ে লেখা হয়,রাজ্যপাল যে আসলে বিজেপিরই গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়িত করার প্রতিনিধি, তা প্রমাণ করেছিলেন জগদীপ খনকড়। প্রাক্তন রাজ্যপালের পথ দ্রুত অনুসরণ করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন বর্তমান রাজ্যপাল। আর তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তো রাজ্য়পালকে আক্রমণ করতে গিয়ে, লাগামছাড়া মন্তব্য় করেন।                                                                                                                                              

আরও পড়ুন: Adenovirus: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস, পুরসভার তরফে শুরু সচেতনতামূলক প্রচার