কলকাতা: ২জনেই প্রায় সমকালীন। বাংলার রাজনীতিতে একসময় মুখোমুখি বিরোধিতার অবস্থানে ছিলেন ২ জন। পরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়, কাছাকাছি আসে ২ দল। কাছাকাছি আসেন ২ জন রাজনীতিবিদও। একসঙ্গে জনসভাও করেছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের পর স্মৃতিচারণায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায় উঠে এল খেদও। কীসের খেদ রয়েছে তাঁর?


বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে বলতে গেলে তাঁর কট্টর বিরোধীরাও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সততা বা ব্যক্তিগত সততার কথা বলেন। সেই একই কথা স্মৃতিচারণায় বললেন অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, 'একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তাঁর গোটা রাজনৈতিক জীবনে কখনও সততা থেকে বিচ্যূত হননি। কখনও কোনও দুর্নীতি, স্বজনপোষণ করার কোনও অভিযোগ আজ পর্যন্ত বাংলায় কেউ করতে পারেনি।' তাঁর এই আদর্শ বাকিদের পাথেয় হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। অধীরের কথায়, 'আজ বাংলায় দুর্নীতি ও রাজনীতি একে অপরের পরিপূরক হয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে এই কথা বলা যেতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্ম, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও যদি বুদ্ধবাবুর এই চরিত্রটা রপ্ত করতে পারে, বাংলা বাঁচবে বলে মনে হয়।'


বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভাবনার সঙ্গে বহুবার বিরোধিতা হয়েছিল বলে জানালেন তিনি। সিঙ্গুরের সময়েও তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। সেই জায়গাতেই খেদ রয়েছে তাঁর। অধীর বললেন, 'পরে আবার মনে করেছি সিঙ্গুরে বিরোধিতা না করলেই মনে হয় ভাল হতো।'


২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস জোট হয়েছিল। সেই সময় যৌথ প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন রাহুল গাঁধী। পাকসার্কাস ময়দানে সভায় একই মঞ্চে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরী, রাহুল গাঁধী। সেটাই ছিল বুদ্ধদেব ও অধীরের সামনাসামনি শেষ সাক্ষাৎ- বললেন অধীর চৌধুরী। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: চোরাচালান রোখায় অস্ত্র নিয়ে হামলা, পাল্টা গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতী তাড়ালেন মহিলা BSF জওয়ান