অর্ণব মুখোপাধ্যায়, অযোধ্য়া: ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের (Ram Mandir Inauguration) উদ্বোধন। তার আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। সরয়ূর তীরে সাজো সাজো সরব। স্টেশন থেকে বিমানবন্দর, সবকিছুতেই এখন রামমন্দিরের ছোঁয়া। মন্দিরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে চারপাশ। ঝাঁ চকচকে রাস্তা,বাড়ি থেকে অলিগলি, পড়ছে রঙের প্রলেপ। ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তার আগে অযোধ্যাজুড়ে কড়া নিরাপত্তার পরত। মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত পু'লিশ প্রশাসন।


২২ জানুয়ারি রাম লালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ramlala Pran Pratishtha) হবে। তার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি চলছে গোটা অযোধ্যায়। শুধু রাম মন্দির তৈরিই নয়, কাজ চলছে অযোধ্যাজুড়ে।   


যে রাস্তা দিয়ে শ্রীরাম জন্মভূমির দিকে যাওয়া হয়, তাঁর ডানদিকে যে মন্দির সেটি রাজদ্বার মন্দির। বাঁ দিকে রয়েছে হনুমান গড়ি বা হনুমান মন্দির। কথিত রয়েছে এই রাস্তা দিয়েই অযোধ্যায় রাজা রামের প্রাসাদে যেতে হতো। বাঁ দিকে ওই মন্দির যেখানে সেখানে পাহাড়া দিতেন ভগবান হনুমান। এই রাস্তায় এখন সব বাড়ির রং এক, গেরুয়া রঙে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সব বাড়ি। ২২ জানুয়ারির আগে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন চলছে। শ্রী রাম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর তৈরি করা হয়েছে, অযোধ্যা রেল স্টেশন সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রাম মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে ২টিই। রাম মন্দির যেভাবে তৈরি হয়েছে, যে গোলাপি বেলেপাথরে সেজে উঠেছে, অনেকটাই সেই আদল আনা হয়েছে বিমানবন্দর ও রেল স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রেও। আর এই দুটি উদ্বোধন করার জন্য ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  


সূত্রের খবর, ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে শ্রী রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি রোড-শো হতে পারে। সেই রোড-শো আসবে অযোধ্যা স্টেশন পর্যন্ত।


নতুন রাস্তাও তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায়। পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যায় আসা এবং রোড-শো ঘিরে ইতিমধ্যেই গোটা অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে উন্মাদনা।


 






আরও পড়ুন:  লিফট, ব়্যাম্প থেকে জটায়ু মূর্তি! অযোধ্যার রাম মন্দিরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি