জয়ন্ত পাল, বজবজ: জমি সিন্ডিকেটের বিবাদের জেরে জোড়া খুন বজবজে। পলাতক মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি। জমির দালালিকে ঘিরে ব্যক্তিগত শত্রুতা তৈরি হয় বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের। এর পর দু'জনকেই গলার নলি কেটে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ সামনে আসছে। এই ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। (Budge Budge News)
বজবজ থানার অন্তর্গত ৭ নং ওয়ার্ডের খড়িবেড়িয়া এলাকার পণ্ডিতের মাঠের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। ১১ অগাস্ট, শুক্রবার সেখানে দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্য। তাঁর দলবলও এই খুনে যুক্ত বলে অভিযোগ নিহতেদের পরিবারের। (South 24 Parganas News)
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত দুই ব্যক্তির নাম মহাদেব পুরকায়স্থ ওরফে পুঁটি এবং গণেশ নস্কর। একজনেপর বয়স ৪২, অন্য জনের ৪৮ বছর। রক্তাক্ত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে খড়িবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
নিহতদের পরিবারের দাবি, অসীমের সঙ্গে কোনও এক সময় জমির দালালির কাজ করতেন মহাদেব। সেই সময় থেকেই দু'জনের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা তৈরি হয়। দিন কয়েক আগেও অসীম গিয়েছিলেন মহাদেবের বাড়িতে। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল, তা তার পরিবারের লোকজন জানেন না। মহাদেবের পরিবারের দাবি, অসীম খুনের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি।
জমির দালালি ছেড়ে সম্প্রতি মাছ-মাংস বিক্রি করতেন মহাদেব। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ মহাদেব এবং উলুবেড়িয়ার জুট মিলের কর্মী, তাঁর বন্ধু গণেশ বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পণ্ডিতের মাঠের কাছে অসীম এবং তাঁর লোকজন দু'জনকে ঘিরে ধরেন এবং বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, বচসা চলাকালীন ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়, গলার নলি কেটে দেওয়া হয় মহাদেব এবং গণেশের।
পুলিশের সন্দেহ, সম্ভবত মহাদেবকে মারতে দেখে ফেলাতেই গণেশকেও বলি হতে হয়। বর্তমানে বজবজ থানার পুলিশ অসীমের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। দু'জনের দেহ হাসপাতাল থেকে বজবজ থানার মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও মর্গে দেহ দেখতে পাননি বলে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিবারের লোকজন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায়।