পার্থপ্রতিম ঘোষ, রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: গরুপাচারকাণ্ডে (Cow smuggling Case) এবার সিআইডি-র (CID) হাতে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ব্যবসায়ী। ধৃতের নাম জেনারুল। সিআইডি-র (CID) দাবি, বেআইনিভাবে গরুপাচারে যুক্ত ছিলেন জঙ্গিপুরের এই ব্যবসায়ী। কীভাবে হত পাচার? সিআইডি-র অভিযোগ, ১৮০০ গরু কিনে, তার মধ্যে ১২০০ গরুকে মৃত বা নিখোঁজ দেখিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধেয় জঙ্গিপুরের ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি-র দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী। এনামুল ও জেনারুল মিলে গরুপাচার করত। এমনকি, সীমান্তে আটক করা গরুও নিলাম থেকে কিনে পাচার করা হত বলে সিআইডি-র দাবি।
আরও পড়ুন: Malda News: গাজোলে CID হানা, মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি টাকা
অন্যদিকে চিটফান্ডকাণ্ডে সকাল থেকে হালিশহরে সিবিআই তল্লাশি। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে বীজপুরের তৃণমূলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ও তাঁর ভাই কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। হালিশহরের জেটিয়ায় সুবোধ-কমলের পৈতৃক বাড়ি। এদিন সেখানে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়ি ও অফিসেও প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। অভিযান চলাকালীন সেখানে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।
এর পাশাপাশি, হালিশহরে বিধায়কের ব্যক্তিগত সহায়ক অভিজিৎ শিকদার ওরফে বাপ্পার অফিস ও বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। তল্লাশি চলছে তৃণমূল বিধায়কের লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ি ও পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে। সিবিআই সূত্রে দাবি, মোট ৭টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। অন্যদিকে, রাজু সাহানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করলেও, চিটফান্ড-যোগ অস্বীকার করেছেন কাঁচরাপাড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী।
বিপক্ষকে দাবিয়ে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। সুবোধ অধিকারী তো কম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যেতে হচ্ছে ইডি-তে।তবে এই সবে কিছু হবে না। চিটফান্ডকাণ্ডে বীজপুরেরর তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।
মালদার গাজোলে টাকা উদ্ধার: CBI’র অভিযানে মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা থরে থরে সাজানো ৫০০ ও ২ হাজারের নোট! কোথা থেকে এল এত টাকা? নেপথ্যে কী? মাছ ব্যবসার আড়ালে কি মাদকের কারবার? রবিবার সকালে গাজোলের ঘাকশোলে মাছ ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ সাহার বাড়িতে হানা দেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা CID’র অফিসাররা।
CID সূত্রে দাবি, সম্প্রতি মাদক মামলায় গ্রেফতার হন ব্যবসায়ীর আত্মীয়, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ওম গুপ্ত। নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেন্সিডিল পাচারের সঙ্গে ব্যবসায়ীর যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ CID’র।