বহরমপুর : ফের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সরব হলেন সিএএ (CAA)  নিয়ে । হুঙ্কার সুকান্ত মজুমদারের ( Sukanta Majumdar ) । রাজ্য সরকারের বিরোধিতার কারণেই CAA চালু করতে দেরি হচ্ছে , এর আগেও বনগাঁয় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন   বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আবারও বললেন, ‘আজ না হয় কাল, রাজ্যে সিএএ প্রণয়ন করবই’। 

বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন,  ‘রাজ্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে হোক বা এড়িয়ে, সিএএ প্রণয়ন হবেই’ । বহরমপুরে ভোটপ্রচারে গিয়ে মন্তব্য করেন সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের আগেও দিল্লির নেতারা বলেছিলেন, মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন, শিক্ষা নেওয়া উচিত’ । 


এর আগেও সুকান্ত মজুমদার বলেন, ' রাজ্য সরকারের বিরোধিতার জন্যই এত দেরি হচ্ছে, রাজ্য সরকার যদি সঙ্গে সঙ্গে মেনে নেয়, তাহলে কালকে চাইলে কালকেই CAA চালু করে দিতে পারি।' পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, ' ' উনি আগে দলের সব অংশকে বোঝান,  তারপর এনআরসি-সিএএ নিয়ে আলোচনা হবে।' 

আরও পড়ুন :


২৭ এর আগে প্রচার তরজা তুঙ্গে, বিরোধীদের ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


পুরভোটের মুখে ফের তরজার কেন্দ্রে CAA। তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর। ভোটে একটা বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট! বনগাঁ পুর এলাকায় মতুয়া ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। সম্প্রতি, দলের রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়াদের ব্রাত্য রাখা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বিক্ষুব্ধদের বার্তা দিতে ২ নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব!


এই প্রেক্ষাপটে  বারবার পুরভোটের প্রচারে গিয়ে ফের CAA চালু করার কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনিবলেন,' CAA আমরা লাগু করব, তার জন্য চিন্তাভাবনা চলছে, সর্বোচ্চস্তরে চিন্তাভাবনা চলছে। আজ না হোক কাল CAA চালু হবেই। রাজ্য সরকারের বিরোধিতার জন্যই এত দেরি হচ্ছে, রাজ্য সরকার যদি সঙ্গে সঙ্গে মেনে নেয়, তাহলে কালকে চাইলে কালকেই CAA চালু করে দিতে পারি। রাজ্য যেহেতু মানতে চাইছে না, তাই অন্য পথ দেখতে হচ্ছে।