কলকাতা: রাজ্যের প্রস্তাবিত সিট (SIT) নয়, গ্রুপ সি (Group-C)-দুর্নীতি অনুসন্ধানেও এবার কমিটি গড়ল আদালত। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষ করার জন্য কমিটিকে ৩ মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। ‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, অমান্য করলে ছাড় পাবেন না। এই দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত বা অনুসন্ধান দরকার। অনুসন্ধানে নিরপেক্ষ সংস্থাই প্রথম পছন্দ’ বলে  মন্তব্য বিচারপতি হরিশ টন্ডনের। গ্রুপ-ডি দুর্নীতিতেও অনুসন্ধান করছে এই কমিটি।


এর আগে গ্রুপ সি-তে সিবিআই অনুসন্ধানের অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে জানিয়ে দেওয়া হয়, তদন্তে নজরদারি করবেন সিবিআই অধিকর্তা। এ দিকে, ভুয়ো চাকরির অভিযোগে বাতিল করা হয়েছিল ৩৫০ জনের চাকরি। অবিলম্বে ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।  


এ দিন, বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বেতন ফেরত দিতে হবে, না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা। ব্যবস্থা নেবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক’। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।


অন্যদিকে SSC-র গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সূত্রে খবর, শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কমিশন এবং পর্ষদের মধ্যে কাকে বিশ্বাস করা যাবে? যদি অনিয়ম হয়েছে ধরে নেওয়া হয়, তাহলে কে দায়ী, খুঁজে বের করা সহজ নয়। 


মামলাকারীদের পক্ষে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, সরকার স্কুল খোলার দোহাই দিয়ে অনিয়মের পাশে দাঁড়াচ্ছে।  শুধু গ্রুপ ডি নয়, অনেক ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে।  মেয়াদ শেষের পরও সুপারিশ হয়েছে, এমন নথিও জমা দেন মামলাকারীরা। হাইকোর্টের নির্দেশ, আদালতের কাছে জমা পড়া ভুয়ো নিয়োগের সুপারিশপত্রের সঙ্গে বাগ কমিটির কাছে থাকা নথি মিলিয়ে দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ।  বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির কথা।


আরও পড়ুন: SSC Group C: 'নিরপেক্ষ সংস্থাতেই ভরসা' গ্রুপ সি-দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি গঠন আদালতের 


আরও পড়ুন: Student Credit Card: উচ্চশিক্ষায় আর বাধা নয়, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিলি অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী