কলকাতা : চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের।
প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ মতই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে’, অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানাল ডিভিশন বেঞ্চ। যা নিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'যে ব্যাপারটা নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা হচ্ছে, নির্ণয় প্রক্রিয়ার মধ্যে দুর্নীতি হয়েছে। তার জন্য নতুন করে তাঁদের যোগ্যতামান নির্ণয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশ কিন্তু অক্ষুণ্ণ রয়েছে। যেটুকু স্থগিতাদেশ হয়েছে তা হল যাঁরা চাকরি করছিলেন তাঁদের প্যারাটিচারের মাইনে দেওয়া হত, সেটা না হয়ে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন পাবেন। এছাড়া আর কিছু হয়নি। তাঁরা যদি পরবর্তীকালে নির্ণয়ে যোগ্য না হল তাহলে তাঁদের চাকরি চলে যাবে।'
প্রসঙ্গত, ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে সাড়ে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। যে নিয়োগে সাড়ে ৩৬ হাজার শিক্ষকই সেই সময় অপ্রশিক্ষত হওয়ার জেরে তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে যা সংশোধন করে তিনি জানান ৩২ হাজারের চাকরি বাতিল হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় অ্যাপিটিউড টেস্ট না হওয়া, সংরক্ষণ নীতি না মানার মতো একাধিক অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন কয়েকজন। যার ভিত্তিতে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য মাঝে প্রশিক্ষণ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাঁচানোর সুযোগ অবশ্য দিয়েছেন। নতুন করে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার সময়সীমা দিয়ে বিচারপতি জানিয়েছিলেন নতুন করে অ্যাপটিউড টেস্টে বসতে হবে তাঁদের।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তা মাঝি, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭
এদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের অর্থ এটা নয় যে দুর্নীতি হয়নি। এটাও নয় যে এদের চাকরি ভবিষ্যতে যাবে না। যাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ ছিল তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের কথা শোনা উচিত। আবার যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদেরও কথা শোনা হোক। আমরা চাই এই আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হোক। যোগ্যরা চাকরি পাক, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন তাঁদের চাকরি যাক।'
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরম থেকে শরীরকে বাঁচাতে পাতে রাখুন এই খাবারগুলি