সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ‘মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন। আমি কেন খারাপ কথা বলব? আমি তো বলেছি ঢাকি বিসর্জন দিয়ে দেব। ওঁরা আমাকে বলতে বাধ্য করেছে’, পর্ষদের আইনজীবীকে উদ্দেশে করে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। 


সঙ্গে কুণাল ঘোষের ট্যুইটে আক্রমণ প্রসঙ্গে মজার ছলে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘কুণাল ঘোষের কথা খুব এনজয় করি, রোজ কিছু না কিছু বলেন। আমি কোনও অতিরিক্ত মন্তব্য করব না। কথাটার মানে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে’। প্রসঙ্গত ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইটে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, 'যদি কেউ সব জানেন, 'মাথা' চেনেন, 'ধেড়ে ইঁদুর' জানেন বলে ভাব দেখিয়ে প্রচার চান, তাঁকে অবিলম্বে সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তদন্তে ডেকে পাঠানো হোক।'


প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে নিউ সেক্রেট্যারিয়ট ভবনের একটি অংশ কলকাতা হাইকোর্টের হাতে হস্তান্তর করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) খোদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য-সাক্ষাতের প্রসঙ্গও এ দিন আদালেত টেনে আনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আপনি ভাল করছেন। আপনি আপনার মতো চালিয়ে যান, আমাকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিউ সেক্রেটারিয়েটে অনুষ্ঠানের দিন মুখোমুখি হলে আমাকে একথা বলেন তিনি।"



গত ২৩ নভেম্বর, অযোগ্যদের পুনর্বহাল সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, কার নির্দেশে অবৈধদের শূন্যপদে চাকরি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করল কমিশন? তা তদন্ত করে দেখবে CBI। এই আবেদনগুলির উৎস খুঁজে বের করবে CBI। কার মস্তিষ্কপ্রসূত? CBI-কে তাও খুঁজে বের করতে হবে। এরপর গত পয়লা ডিসেম্বর, নবম-দশমে অবৈধভাবে সুপারিশপত্র প্রাপকদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া পর, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনকে বলেছিলেন, নির্ভয়ে কাজ করুন। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে!


যার কিছুদিন আগে, হাইকোর্টে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের সঙ্গে কথোপকথন পর্বে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রণা বুঝতে পারি। কিন্তু কিছু দালাল, যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত, তারা আদালতের নামে যা ইচ্ছে বলছে! বলছে, নিয়োগ হলেই, আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে এলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে?


আরও পড়ুন- চাকরি করছিলেন দিব্যি, অযোগ্য-তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা নেই বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার!