কলকাতা: প্রতিষ্ঠা দিবসে পরীক্ষা-সংঘাত, প্রাক্তনী হতেই নিয়োগ-প্রশ্ন সিন্ডিকেটে! অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসার পদে শান্তা দত্ত দে-র নিয়োগে প্রশ্ন সিন্ডিকেটের। প্রাক্তন উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন সিন্ডিকেটের বৈঠকে। প্রাক্তন উপাচার্যের অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসার পদ নিয়ে প্রশ্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সিন্ডিকেট বৈঠকেই প্রাক্তন উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-কে নিয়ে আলোচনা। অনুমোদন ছাড়াই প্রাক্তন উপাচার্য পড়াচ্ছেন, দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের।
'নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও প্রত্যাহার করেছেন নিজেই', ডিনকে বিষয়টা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের। 'আলোচনা হল, কমিটি তৈরি করে রিপোর্ট দেবে সিন্ডিকেটের কাছে', দাবি উচ্চশিক্ষা সংসদের সিন্ডিকেট প্রতিনিধি ওমপ্রকাশ মিশ্রের। প্রতিষ্ঠা দিবসে পরীক্ষা নিয়ে উপাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ TMCP-র। সংঘাতের পরেও প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনই পরীক্ষা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। 'আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অনেক কাজ করেছি। বিনা পারিশ্রমিকে পড়াতে এসেছি, এটা নিয়ে জলঘোলা করছে', সিন্ডিকেটের বৈঠকের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া প্রাক্তন উপাচার্যের। শিরদাঁড়া সোজা রাখারই কি মাশুল প্রাক্তন উপাচার্যের?
প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস , একইদিনে পরীক্ষা, আবার শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি! আর এই নিয়েই কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যর সঙ্গে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘাত চরমে পৌঁছে যায়। সেসময় কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেছিলেন,পরীক্ষা তো হবেই। যেমন হওয়ার তেমন হবে। আমি তো বলব ভয় যেমন ছোঁয়াচে, সাহসও তেমন ছোঁয়াচে। কন্ট্রোলার সাহেব, সবাই সাহস অর্জন করেছেন। ছেলেখেলা তো নয় এটা। আমরা এরকম একটা কারণের জন্য় পরীক্ষা পিছতে পারি না।' কথা মতোই হয়েছিল সব। নিজের সিদ্ধান্তেই অটুট ছিলেন তিনি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেছিলেন, 'পার্টি এবং সরকারকে গুলিয়ে আমি অনন্ত ফেলতে চাই না। গুলিয়ে যাওয়ার মতো বহু কারণ আছে। ওরা পার্টির মতো পার্টি প্রতিবাদ করছে। কিন্তু সরকারের বোঝানো উচিত। এই চেয়ারে সেই মানুষেরই বসা উচিত, যাঁর সম্পূর্ণ অ্য়াকাডেমিক স্বাধীনতা থাকবে। কোনও রাজনৈতিক দল তাঁকে নির্দেশ দেবে না। এই ডেটগুলো কিন্তু উপাচার্য ঠিক করেনি। সব ভাগ করা আছে। আমার ইচ্ছা হল, এই এই ডেটে পরীক্ষা করে দিলাম। এমন হয় না। এই পরীক্ষার জন্য় এক্সপার্ট মানুষজন বসে কাজ করেছেন। এর একটা দিন এদিক-ওদিক করা মানে ভীষণ বিপদ। ভীষণ মুশকিল।'