অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামের টুঙ্গাধোয়া গ্রামে বিজেপি প্রার্থীকে সপাটে চড় সাঁকরাইল থানার ওসি-র। ভাইরাল ভিডিও। ছবিতে দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী বলছেন, এরা পুলিশ না কি গুন্ডা? ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১১ নম্বর আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ক্যান্সার আক্রান্ত শুভঙ্কর মাহাতো। 


তাঁর অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন সাঁকরাইল থানার ওসি খন্দকার সইফুদ্দিন আহমেদ। রাজি না হওয়ায় মারধর করা হয়। যদিও পুলিশের দাবি, গন্ডগোলের খবর পেয়ে গ্রামে গেলে ওই বিজেপি প্রার্থীই ওসি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তাই নিয়েই গন্ডগোল। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি প্রার্থী। 


প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওসি মামলা করবেন, এমনটাই খবর। 


এই ঘটনাটি নিয়ে ট্যুইট করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইটে বলেছেন, 'শুভঙ্কর মাহাতো একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। তাঁকে হেনস্তা করে পুলিশ। চাপ দিয়ে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়। তৃণমূল এবং পুলিশি হুমকির মুখে পড়তে হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে পুলিশ তার সঙ্গে এই ব্যবহার করছে। একটি বাচ্চাও এই ঘটনা দেখে কাঁদছে, কতটা খারাপ পরিস্থিতি। এক মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি বারবার ক্ষমাভিক্ষা চাইছেন পুলিশের কাছে কারণ ওই প্রার্থী একজন ক্যান্সার আক্রান্ত। এই ঘটনার পর তাঁকে মেদিনীপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


এই শুভঙ্কর মাহাতো কুর্মি সম্প্রদায়ের লোক কিন্তু যেভাবে তাঁকে হেনস্তা হতে হল সেটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে যাচ্ছে। এই পুলিশ দিয়ে কী শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কী সম্ভব?'                                    


 






আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাটছে বাহিনী জট, কী সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিশনকে চিঠি দিল কেন্দ্র?


পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বচসা। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে মেরে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার স্থানীয় বাজার এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় তৃণমূলের লোকজন হামলা করে বলে অভিযোগ। প্রথমে তাঁকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, স্থানান্তর করা হয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ অপথলমোলজিতে। এই বিজেপি কর্মীর দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কিনা, এখনই সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন চিকিৎসকরা।