নয়াদিল্লি: গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling) উথালপাতাল বাংলার রাজনীতি। এ বার গরু পাচারে অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনী (Border Security Force/BSF)-র ধৃত কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের (Satish Kumar) পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল। সবমিলিয়ে ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেরক্টরেট (Enforcement Directorate/ED)। সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুপাচার মামলায় আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইন ২০০২-এর আওতায় ওই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


এর আগে সতীশের স্ত্রী তানিয়া সান্যাল, ছেলে ভাস্কর ভুবনের ২ কোটি ৮৭ লক্ষের স্থাবর সম্পত্তি এবং চারটি মিউচুয়াল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘‘কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of investigation/CBI)-র দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে সতীশ কুমার, মহম্মদ এনামুল হক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে গরুপাচার মামলায় আর্থিক তছরূপের তদন্ত শুরু হয়েছে।’’


ইডি-র তদন্তে জানা গিয়েছে, এনামুলের সহযোগী মনোজ সানা সতীশের স্ত্রী তানিয়া এবং শ্বশুর বাদলকৃষ্ণ সান্যালের অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা জমা করেছিলেন। ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে ইডি-র হেফাজতে রয়েছেন তিনি। গরু পাচার কাণ্ডে ১৭৯ কোটি টাকার আর্থইক তছরূপ হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।


আরও পড়ুন: Dubrajpur News: ‘রাস্তা কারও একার নয়’, দুবরাজপুর বাইপাসের কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তু্ঙ্গে


২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কেরলের বাসিন্দা এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট জিবু ডি ম্যাথিউয়ের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে বাংলায় গরু পাচার-চক্রের হদিশ পায় সিবিআই। সেই সূত্র ধরে কলকাতায় গরু পাচার নিয়ে আলাদা একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। তাতেই বিএসএফ, কেন্দ্রীয় শুল্ক -সহ বিভিন্ন দফতরের একাধিক সরকারি আধিকারিকের নাম উঠে আসে তদন্তে। অভিযোগ ওঠে, মুর্শিদাবাদের ডাকসাইটে ব্যবসায়ী এনামুল হক এবং তাঁর সিন্ডিকেট চক্রকে গরু পাচারে সহায়তা করতেন তাঁরা। তদন্ত শুরু হতে তাতে সতীশের নাম উঠে আসে।