কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mandal) সংস্থার নামে এবার নোটিস জারি করল সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার আধিকারিকদের সোমবারের মধ্যে ডেকে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুত্‍বরণ গায়েন।


অনুব্রত-কন্য়া সুকন্যার সংস্থাকে এ বার নোটিস ধরাল সিবিআই


মঙ্গলবার সিবিআই-এর একটি দল শান্তিনিকেতনে পৌঁছয়। সেখানে অস্থায়ী শিবিরে থেকে তদন্ত চলছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের আধিকারিকদের ১৬০ ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছে তাঁদের। সুকন্যা এবং বিদ্যুৎবরণ, দু'জনকেই ডেকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 


এর আগে, সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে। এমনকি অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিটেও এই সংস্থার নাম উঠে আসে। হুমকি দিয়ে, চাপসৃষ্টি করে নামমাত্র দামে বহু জায়গায় এই সংস্থার নামে সম্পত্তি, জমিজমা কেনা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।  


আরও পড়ুন: SSC Scam: ‘দাদা, যা তা ভাবে টাকা তুলছেন মানিক’, মেসেজ পেয়েছিলেন পার্থও! চার্জশিটে দাবি ইডি-র


এই সংস্থার দুই ডিরেক্টর সুকন্যা এবং বিদ্য়ুৎবরণ। তাই সংস্থা সম্পর্কে নথি হাতে পেতে, তাঁদেরকেই নোটিস ধরানো হয়েছে। সুকন্যা বা বিদ্যুৎবরণ, দু'জনের একজনকে হাজির হতে হবে সিবিআই-এর সামনে। সেই নথি খতিয়ে দেখে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 


শারোদৎসব মিটতেই গরুপাচার মামলায় ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গতকাল বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে হাজিরা দিতে দেখা যায় সাঁইথিয়ার যুব তৃণমূল ব্লক সভাপতি সঞ্জীব মজুমদার। তাঁর চালকলও রয়েছে। একটানা তাঁকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে কয়টি চালকল রয়েছে, সেগুলি কত টাকায়, কবে, কার কাছ থেকে কেনা হয়, তা জানতে চাওয়া হয় সঞ্জীবের কাছে। 


গরুপাচার মামলায় ফের তৎপরতা বাড়াচ্ছে সিবিআই


এর আগে বোলে ব্যোম, শিবশম্ভু-সহ এখাধিক চালকলে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের দাবি, বোলপুর-সহ বীরভূমে অনুব্রতর নামে ও বেনামে একাধিক স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে চালকলও। সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য হাতে পাওয়াই তাঁদের লক্ষ্য।