মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় (Post Poll Violence case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrta Mndal) পর তৃণমূলের (TMC) দুই বিধায়ককে তলব করল সিবিআই (CBI)। শনিবার দুর্গাপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্‍ সিংহ এবং কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। সিবিআই সূত্রে খবর, ইলামবাজারের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের মামলায় হাজিরা দিতে বলে লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ককে নোটিস পাঠানো হয়। জেলার রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দুই বিধায়ক। 


অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের তলব গোয়েন্দাদের


এ দিন সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা দিতে এসে অভিজিৎ জানান, ‘‘আমাকে ফোন করা হয়েছিল। তার পর হোয়াটস্যাপ নম্বর চাইল, দিলাম। তাতে নোটিস পাই। তদন্তকারীরা ডেকেছেন, তাই এসেচি। কেন ডেকেছেন, কী বৃত্তান্ত জানি না। আমি একজন আইন মেনে চলা নাগরিক। তদন্তকারীরা ডেকেছেন, তাই এসেছি।’’



অন্য দিকে, শাহনওয়াজের বক্তব্য, ‘‘আমাকে নোটিস দেওয়া হয়নি। ফোন করেছিল। ২৮ তারিখ আসতে বলেছিল। আমি জানাই, কেতুগ্রামে রয়েছি। তাতে বলল, কবে আসতে পারব জানাতে। সেই মতো গতকাল ফোন করেছিলাম।  তার পর আজ এলাম। কী বিষয় জানি না। সাক্ষ্যদানের ব্য়াপার হতে পারে।’’


আরও পড়ুন: Paschim Medinipur : ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবি, নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সবংয়ের মহিলার


গত কয়েক দিন ধরেই দুর্গাপুরে এনআইটি ক্য়ামপাসে অস্থায়ী ক্যাম্প গড়ে রয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নেতাকেই সেখানে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কাউকে এক ঘণ্টা, কাউকে দেড় ঘণ্টা, আবার কাউকে দু’ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। সমন পাঠিয়ে, মেসেজ করে এবং ফোন করে ডাকা হয় সকলকে। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন যে বা যাঁরা অনুব্রতকে এক বা একাধিক বার ফোন করেছিলেন, তাঁদেরই ডাকা হচ্ছে। কললিস্ট মিলিয়ে একে একে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই মামলাতেই অনুব্রত মণ্ডলকে সম্প্রতি সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই। 


ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে সিবিআই


ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্ত করছে CBI-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর দিন, ইলামবাজারের গোপালনগরে খুন হন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করায় তাঁকে পিটিয়ে খুন করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় নিয়ে ইলামবাজার থানায় ২৪ জনের নামে FIR করেন নিহতের বাবা। তাতে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে CBI। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিক বার সিবিআই জেরা এড়ান অনুব্রত।