কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে থ্রি ডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তির ব্যবহার। ক্রাইম সিনের থ্রি ডি মডেল তৈরি করতে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। শেখ শাহজাহানের বাড়ি এবং মার্কেটে এই থ্রি ডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তির ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
কীভাবে কাজ করে?
এই স্ক্যানারের মাধ্যমে ঘটনাস্থলের পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি তোলা হয়। থ্রি ডি স্ক্যানার ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবি তুলতে পারে। একই ছবিতে ঘটনাস্থলের চারপাশের ৩৬০ ডিগ্রি দেখা যায়। কোন বস্তু কত দূরে? ঘটনাস্থলে ঢোকা-বেরনোর রাস্তা কোথায়? মাপজোক করা যায়। সেই ছবি থেকে তৈরি করা হয় ক্রাইম সিনের থ্রি ডি মডেল। ঘটনাস্থলে না গিয়েও এই মডেলের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অপরাধের জায়গায় পৌঁছে তদন্ত করা যায়।
নমুনা সংগ্রহের জন্য যখন তন্নতন্ন করে শেখ শাহজাহানের বাড়ি, বাজার, অফিস, ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে ঘুরছে CBI, তখন প্রশ্ন উঠছে, ED-র উপর হামলার ২ মাস পর তদন্তে নেমে আদৌ কি কোনও নমুনা-তথ্য পাওয়া যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ জানুয়ারি, ED-র উপর হামলার ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল, তারা বাইরের কেউ নয়, সন্দেশখালিরই বাসিন্দা। ফলে তাঁদের চিহ্নিত করা কঠিন নয়। ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, তাছাড়া CBI সূত্রে খবর, কয়েকজনকে চিহ্নিতও করেছেন শেখ শাহজাহান। আগেই, ইডি আদালতে দাবি করেছিল ঘটনার সময় ৩ মিনিটে ২৮ জনকে ফোন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহানের আরও একটি ফোনের হদিশ পেয়েছে CBI. যে নম্বরে শেখ শাহজাহানকে অনেকে ফোন করেছিলেন। এই ইলেকট্রনিক এভিডেন্স জোগাড় করা কঠিন নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই থ্রি ডি লেজার স্ক্যানারের মাধ্য়মে ঘটনাস্থলের সমস্ত দিকের ছবি তোলা সম্ভব। কোন রাস্তা দিয়ে দুষ্কৃতীরা এসেছিল? কীভাবে ED-আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয়েছিল? শেখ শাহজাহানের বাড়ির অবস্থান এমনকি কোন পথে ED-আধিকারিকরা পালাতে বাধ্য় হয়েছিলেন? এই পুরো বিষয়টির একটা ধারণা করা সম্ভব থ্রি ডি লেজার স্ক্যানারের মাধ্য়মে। এর আগে বীরভূমে বগটুইকাণ্ড, ধানবাদে অটোর ধাক্কায় বিচারকের মৃত্য, দিল্লির করোলবাগের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ জনের মৃত্যু, দিল্লির ফিল্মিস্তান বাজারে আগুনে ৪৩ জনের মৃত্যুর মতো ঘটনার তদন্তেও এই 3D স্ক্যানিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।