Recruitment Scam: পার্থ-জীবনকৃ্ষ্ণর পর এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোন

Businessman's Mobile Phone On CBI Scanner: পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জীবনকৃষ্ণ সাহার পর এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোন। সিবিআই সূত্রে খবর, আগেই তাঁর ৩টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।

Continues below advertisement

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) পর এবার সিবিআইয়ের (CBI) স্ক্যানারে ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের (Businessman Santu Ganguly) মোবাইল ফোন।  সিবিআই সূত্রে খবর, আগেই তাঁর ৩টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, ফোন থেকে প্রচুর তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। আলিপুরের বিশেষ আদালত থেকে অনুমতি পাওয়ার পর, ব্য়বসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩টি মোবাইল ফোন আগামীকালই দিল্লিতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ফরেন্সিক পরীক্ষায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফোন থেকে প্রচুর তথ্য উদ্ধার হয়েছিল। 

Continues below advertisement

প্রেক্ষাপট...
গত মাসে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোন খুঁজতে গিয়ে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের। তাঁদের ধারণা ছিল, ওই ফোনেই নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল। তার হদিশ পেতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ২ দিন ধরে জলের মধ্যে পড়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে বহুক্ষণ পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্য়াগে মেলে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার নথি। সিবিআইয়ের দাবি, এই নথিগুলির মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার নয়, অন্য জেলার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও মিলেছে। এই সমস্ত অভিযোগ সামনে রেখেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারা যুক্ত করার চেষ্টা করে সিবিআই। 
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন ফোন নিয়ে ছুড়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কীভাবে ফোন ফেলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর সময় কেন নেওয়া হয়নি বিধায়কের ফোন? সিবিআই পৌঁছনোর ৫ ঘণ্টা পর কীভাবে ফোন পেলেন জীবনকৃষ্ণ? অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণর ফোন প্রথমেই কি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল? সূত্রের খবর, দায়িত্বে থাকা সিবিআই অফিসারদের উপর ক্ষুব্ধ দিল্লি, এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করে। এমন ঘটনা দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের চরম গাফিলতির কারণেই হয়েছে বলে মনে করে দিল্লি, খবর সূত্রের। শেষে টানা ৬৫ ঘণ্টা নাটকীয় টানাপড়েনের পর, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শাসকদলের তৃতীয় বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন:বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম ! একটি কাপের দামে কেনা যাবে গাড়ি

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola