কলকাতা: পঞ্চায়েতের উন্নয়ন খাতে রাজ্য সরকারকে টাকা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যকে ১৬০০ কোটি টাকা পাঠাল কেন্দ্র। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের থেকে ১৬০০ কোটি টাকা হাতে পেল রাজ্য। এক বছরের মধ্য়ে মোট টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারলে, মিলবে বাকি বরাদ্দও, জানিয়েছে কেন্দ্র। (Fund Allocation)


 প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে


জিএসটি-বাবদ রাজ্য থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেলেও, রাজ্যকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ভোটের ময়দানে পেরে না উঠে, রাজ্যের বিজেপি নেতারাই চিঠি লিখে প্রাপ্য টাকা আটকে দেওয়ার সুপারিশ করছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে, এই অভিযোগও সামনে এসেছে। (15th Finance Commission)


এমনকি রাজ্য বিজেপি-র নেতৃত্ব সেই অভিযোগ মেনেও নিয়েছেন। দুর্নীতি আটকাতেই টাকা আটকানোর সুপারিশ করেছেন বলে সগর্বেই মন্তব্য করেছেন তাঁরা। সেই আবহেই পঞ্চায়েতের উন্নয়ন খাতে রাজ্যকে টাকা পাঠল কেন্দ্র। গত ২২ অগাস্ট প্রথমে ৬৫১ কোটি টাকা পাঠায়, বৃহস্পতি বার এল আরও ৯৯৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১৬০০ কোটি পেল রাজ্য। একবছর পর তৃতীয় কিস্তির টাকাও পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে এযাবৎ বরাদ্দের ৬০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করতে হবে রাজ্যকে।


আরও পড়ুন: Digha News: দিঘায় বেআইনি হোটেল ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের, কাজ শুরু হতেই ধুন্ধুমার, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ স্থানীয়দের


কেন্দ্র জানিয়েছে, ধাপে দাপে আগামী পাঁচ বছরে এই টাকা আসবে। এখনও পর্যন্ত যে টাকা হাতে পেয়েছে রাজ্য, আগামী একবছরের মধ্য়ে তার ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারলে, তবেই পরবর্তী কিস্তির টাকা হাতে পাবে রাজ্য। এই ১৬০০ টাকা দিয়ে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে রাজ্য সরকার রাস্তার উন্নয়ন, নিকাশি, পানীয় জল-সহ গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ করতে পারবে রাজ্য। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর গঠন হয়েছে বোর্ড, উন্নয়নের কাজের জন্য এল ১৬০০ কোটি টাকা


পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর, গত ১৬ অগাস্ট পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়েছে। এই টাকা হাতে আসায়  গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ শুরু করতে সুবিধা হবে রাজ্যের। অর্থ কমিশনের তরফে এই টাকা রাজ্যের জন্য় এমনিতে বরাদ্দই। কিন্তু কিছু দিন ধরেই বকেয়া মেটানো নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ উঠছিল। তার মধ্যেই দু'দফার কিস্তিতে টাকা পেল রাজ্য।